চট্টগ্রাম: করোনার মধ্যেও রেকর্ড গড়া কাজ। তিন মাসের কাজ দুই মাসে।
পাহাড়তলী কারখানা সূত্রে জানা গেছে, দেশে করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর প্রথমদিকে কয়েক সপ্তাহ ঢিলেঢালা কাজ চলে। পরে পুনরায় সীমিত পরিসরে চালু করা হয় কারখানার কার্যক্রম। জুন থেকে জুলাই মাসে পুরোদমে কাজ করেন কারখানার শ্রমিক-প্রকৌশলীরা। তিন মাসের কাজ তারা দুই মাসেই শেষ করেন।
ঈদ উপলক্ষে কারখানায় ৯০টি বগি প্রস্তুত করা লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরুর পর মেরামত করা হয় ৯৩টি, ৮০টি ওয়াগন প্রস্তুত করা লক্ষ্য থাকলেও তার বিপরীতে ৮৩টি ওয়াগন মেরামত করা হয়। এছাড়া ৪টি নিয়মিত লোকোমোটিভ এবং ১৮টি স্পেশাল লোকোমোটিভ মেরামত করা হয়েছে। কারখানা ও লোকোশেডে ১ হাজার ১১জন শ্রমিক-প্রকৌশলী সকাল থেকে বিরতিহীন কাজ করেছেন। পাহাড়তলী কারখানায় পদ রয়েছে ১ হাজার ৭৮টি, এর বিপরীতে কর্মরত ৮৫১ জন শ্রমিক-কর্মচারী। লোকোশেডে পদ রয়েছে ২৯৪ জন, এর বিপরীতে কাজ করছেন ১৬০জন।
কারখানার কর্মব্যবস্থাপক (নির্মাণ) রাশেদ লতিফ বাংলানিউজকে বলেন, ‘করোনার মধ্যেও আমরা প্রতিদিন সকাল থেকে বিরতিহীন কাজ করেছি। ১৭৬টি ক্যারেজ ও ওয়াগন মেরামত করা হয়েছে দুই মাসে।
কারখানার কর্মব্যবস্থাপক (ডিজেল) রাজিব দেবনাথ বাংলানিউজকে বলেন, আমরা নিয়মিত ৪টি ও স্পেশাল ১৮টি লোকোমোটিভের কাজ করেছি। রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক রাখতে লোকোমোটিভের গুরুত্ব অনেক, তাই মেরামতে টানা পরিশ্রম করেছেন আমাদের শ্রমিক-প্রকৌশলীরা।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সরদার সাহাদাত আলী বাংলানিউজকে বলেন, প্রায় সময় সরাসরি গিয়ে কাজের তদারকি করেছি। পাহাড়তলী কারখানার কর্মকর্তা, প্রকৌশলী ও শ্রমিকদের পরিশ্রমের ফলে রেলের চাহিদা পূরণ হয়েছে। করোনাকালে তারা একদিনও বসে ছিল না ।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৮ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০২০
জেইউ/এসি/টিসি