চট্টগ্রাম: বৈশ্বিক মহামারী করোনার কারণে মন্ত্রণালয়ের দেওয়া লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ায় আপাতত ৩০ দিনের উৎসাহ বোনাস দেওয়া হচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।
মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (প্রশাসন) এ সম্পর্কিত দপ্তারাদেশ জারি করেছেন।
সূত্র জানায়, বন্দরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উৎসাহ বোনাস স্কিমের ১৯৮৯ (সংশোধিত) আওতায় ২০১৯-২০ অর্থবছরে কার্গো-কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের জন্য প্রযোজ্য বোনাস স্কিমের ৪(১) ও ৮(১) ধারা অনুযায়ী আপাতত ৩০ দিনের ইনটেনসিভ দেওয়া হচ্ছে। ঈদুল আজহার ছুটির আগেই এটি পরিশোধ করা হবে।
বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক বাংলানিউজকে জানান, বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ৭৫ দিনের ইনটেনসিভ পান। হ্যান্ডলিং ও আয়ের ওপর এটি দেওয়া হয় জুন ও জানুয়ারিতে। হ্যান্ডলিংয়ের ওপর ৪৫ দিনের ইনটেনসিভ থেকে করোনার কারণে মন্ত্রণালয়ের দেওয়া লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ায় আপাতত ৩০ দিনের দেওয়া হচ্ছে। বাকিটা কর্তৃপক্ষের বিবেচনাধীন রয়েছে।
বন্দর কর্মচারী পরিষদের (সিবিএ) ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নায়েবুল ইসলাম ফটিক বাংলানিউজকে বলেন, কোরবানির আগে ৩০ দিনের ইনটেনসিভ দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। আশাকরি হ্যান্ডলিং টার্গেট যেহেতু করোনার কারণে পূরণ হয়নি তাই এটি রিভিউ করা হবে।
সূত্র জানায়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১০ কোটি ১৫ লাখ ৬৫ হাজার ২৭২ টন কার্গো (পণ্য) হ্যান্ডলিং হয়েছে বন্দরে। এর আগের অর্থবছরে যা ছিলো ৯ কোটি ৮২ লাখ ৪০ হাজার ৬৫৫ টন। এবার প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ।
বিশ্বের ১০০টি শীর্ষ কনটেইনার হ্যান্ডলিংকারী বন্দরের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থান ৬৪তম। ৪০ ফুট ও ২০ ফুটের কনটেইনার বক্স আসে বন্দরে। হিসাবের সুবিধার জন্য ৪০ ফুটের কনটেইনারকে ২০ ফুটের দুইটি হিসাব করা হয়। সদ্য বিদায়ী অর্থবছরে এ বন্দর কনটেইনার হ্যান্ডলিং করেছে ৩০ লাখ ৪ হাজার ১৪২ টিইইউ’স (২০ ফুট হিসেবে)। আগের অর্থবছরে যা ছিলো ২৯ লাখ ১৯ হাজার ২৩ টিইইইউ’স। এবার প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২ দশমিক ৯ শতাংশ।
করোনার কারণে চীন থেকে পণ্য আমদানি, এলসি খোলা, জাহাজ আসায় কিছুটা স্থবিরতা নেমে এসেছিলো কয়েক মাস। তারপরও সদ্য বিদায়ী অর্থবছরে বন্দর কর্তৃপক্ষ জেটি ও বহির্নোঙর মিলে জাহাজ হ্যান্ডলিং করেছে ৩ হাজার ৭৬৪টি। আগের অর্থবছরে (২০২৮-১৯) যা ছিলো ২ হাজার ৬৯৯টি। এবার প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
বাংলাদেশ সময়: ২২৩৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০২০
এআর/টিসি