ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চিরচেনা সেই রূপ নেই চট্টগ্রাম রেল স্টেশনে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০২০
চিরচেনা সেই রূপ নেই চট্টগ্রাম রেল স্টেশনে ঈদের আগের সেই চিরচেনা ভিড় নেই চট্টগ্রাম রেল স্টেশন কাউন্টারে। ছবি: উজ্জ্বল ধর

চট্টগ্রাম: রাত জেগে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কাটা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা শেষে টিকিট পেয়ে বিশ্বজয়ের হাসি দেওয়া।

তারপর দলবেঁধে বন্ধু কিংবা পরিবার নিয়ে হই-হুল্লোড় করে বাড়ি যাওয়ার সেই চিরচেনা দৃশ্য নেই চট্টগ্রাম রেল স্টেশনে।  

দেশে করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে রেলওয়ে স্টেশনে সবই যেন নির্জীব।

এখানে সকালটা হয় পাখির কলকাকলিতে। রাত পর্যন্তও নেই তেমন মানুষের কোলাহল। ঈদুল আজহায়ও একই চিত্র। অনলাইনে টিকিট দেওয়ায় ভিড় নেই স্টেশনে।

প্রতিদিন সকাল ৭টায় সুবর্ণ, বিকেল সোয়া ৫টায় মেঘনা এক্সপ্রেস ও উদয়ন এক্সপ্রেস রাত পৌনে ১০টায় চট্টগ্রাম ছেড়ে যাচ্ছে। তবে গত ২৮ জুলাই থেকে অনলাইনে টিকিটের চাহিদা বেড়েছে। সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিটের চেয়ে মেঘনা ও উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনের সবচেয়ে চাহিদা বেশি।

এ দুটি ট্রেনের অগ্রীম টিকিট দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার লক্ষ্যে সরকারি নির্দেশনায় সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনের ৯০৮টি টিকিটের মধ্যে ৪৫৪টি টিকিট বিক্রি হচ্ছে।

মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেনের ৯২৮টি টিকিটের মধ্যে ৪৬৪টি বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনের ৬৩৬টি টিকিটের মধ্যে ৩১৮টি বিক্রি হচ্ছে। অর্থাৎ ৩টি ট্রেনের পাশাপাশি দুটি সিটের মধ্যে একটি বিক্রি হচ্ছে।

চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার রতন কুমার চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, সুবর্ণ এক্সপ্রেসের তুলনায় উদয়ন ও মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিটের চাহিদা বেশি। টিকিট দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে টিকিট বিক্রি হয়ে যাচ্ছে।

‘মেঘনা এক্সপ্রেসে ট্রেনের খুব বেশি চাহিদা। বরিশাল, পটুয়াখালীর লোকজন এখান থেকে চাঁদপুর তারপর চাঁদপুর থেকে স্টিমারে দক্ষিণাঞ্চলের দিকে যায়। এ জন্য এ ট্রেনের চাহিদা বেশি। ’ 

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সরদার সাহাদাত আলী বাংলানিউজকে বলেন, কোনোভাবে যাতে স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে হেরফের না হয় সেজন্য কড়া নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ট্রেনে প্রতিটি বগিতে জীবাণুনাশক স্প্রে দিয়ে জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে। স্টেশনে ঢোকার আগে শরীরের তাপমাত্রা মাপা হচ্ছে, ট্রেনে ওঠার আগে যাত্রীদের হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার রাখা হচ্ছে।

তিনি বলেন, করোনা সংক্রমণ শুরুর পর থেকে আমরা এ কার্যক্রম পরিচালনা করছি। ঈদে মানুষের চাপ থাকে সেজন্য যাতে ট্রেনে অতিরিক্ত কোনো যাত্রী না উঠে সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সরকারের নির্দেশনায় এক সিট বাকি রেখে যাত্রীদের বসানো হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০২০
জেইউ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।