ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ট্রাফিক পুলিশ বক্সে বিস্ফোরণ, 'নব্য জেএমবির সদস্য' আটক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৯ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০২০
ট্রাফিক পুলিশ বক্সে বিস্ফোরণ, 'নব্য জেএমবির সদস্য' আটক মো. শাহেদ

চট্টগ্রাম: গত ফেব্রুয়ারিতে নগরের দুই নম্বর গেইট এলাকায় ট্রাফিক পুলিশ বক্সে বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও এক যুবককে আটক করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।

কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার হারবাং এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) তাকে চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানা গেছে।

আটক যুবকের নাম মো. শাহেদ (২৪)।

তিনি চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া মৌলভীপাড়া এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে। শাহেদ নব্য জেএমবির সদস্য বলে দাবি করেছে পুলিশ।

সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার পলাশ কান্তি নাথ বাংলানিউজকে বলেন, ট্রাফিক পুলিশ বক্সে বিস্ফোরণের ঘটনায় চকরিয়া উপজেলার হারবাং এলাকা থেকে শাহেদ নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। তাকে চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হয়েছে।

গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাতে দুই নম্বর গেইট এলাকায় ট্রাফিক পুলিশ বক্সে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে দুই পুলিশ সদস্যসহ অন্তত পাঁচজন আহত হয়।  

আহতদের মধ্যে ছিলেন: ট্রাফিক সার্জেন্ট আরাফাত হোসেন ভুঁইয়া, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. আতাউদ্দিন, স্থানীয় দুই যুবক জাহিদ বিন জাহাঙ্গীর ও মো. সুমন।

হামলার ঘটনার পর তদন্তে নেমে পুলিশ নব্য জেএমবির সদস্যদের সম্পৃক্ততা পায়। পরে গত ৩ মে হামলার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।

গ্রেফতার তিনজন হলো- সাতকানিয়া উপজেলার দক্ষিণ ঢেমশা হাদুরপাড়া এলাকার মো. ইসহাক মিয়ার ছেলে মো. সাইফুল্লাহ (২৪), একই উপজেলার দক্ষিণ মারফলা এলাকার মনির আহমদের ছেলে মো. এমরান (২৫) ও উত্তর ঢেমশা মাইজপাড়া এলাকার মহরম আলীর ছেলে মো. আবু সালেহ (২৫)।  

এদের মধ্যে মো. সাইফুল্লাহ চকবাজার এলাকার নুরা এন্টারপ্রাইজ নামে একটি কম্পিউটার দোকানের কর্মচারী, এমরান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ছাত্র ও আবু সালেহ ন্যাশনাল পলিটেকনিকের ছাত্র।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৭ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০২০
এসকে/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।