ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে রোগীর অভাবে খালি পড়ে আছে আইসিইউ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০২০
চট্টগ্রামে রোগীর অভাবে খালি পড়ে আছে আইসিইউ প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রাম: করোনা সংক্রমণের পর থেকে আইসিইউ সংকট নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই সংবাদের শিরোনাম হয়েছে চট্টগ্রাম। আইসিইউ’র অভাবে ১০ মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা ফাতেমা আক্তার মুক্তা নামে এক নারীর মৃত্যুর পর আলোচনায় আসে বিষয়টি।


শুধু মুক্তা নন, এমন ঘটনার মুখোমুখী হতে হয়েছে মুমূর্ষু রোগী নিয়ে হাসপাতালের দ্বারে দ্বারে ঘোরা রোগীর স্বজনদের। তবে মাত্র মাসখানেক আগেও যেখানে আইসিইউ শয্যা পেতে রোগীর স্বজনদের রীতিমতো যুদ্ধে লিপ্ত হতে হতো সেখানে এখন খালি পড়ে আছে আইসিইউ শয্যা।


সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, চট্টগ্রামে এখন পর্যন্ত মোট ২৭টি আইসিইউ শয্যা খালি রয়েছে। এরমধ্যে সরকারি হাসপাতালগুলোতে খালি ১৪টি এবং বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে খালি রয়েছে ১৩টি।


এছাড়া সরকারি হাসপাতালে করোনা ওয়ার্ডে শয্যা খালি রয়েছে ২৭৪টি এবং বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে শয্যা খালি রয়েছে ৩১২টি।


খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চট্টগ্রামে করোনার চিকিৎসা দেওয়া জেনারেল হাসপাতালে কোনো আইসিইউ খালি না থাকলেও জেনারেল হাসপাতালের ইউনিট-২ হিসেবে পরিচালিত হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতালে ১০টি আইসিইউ’র সবগুলোই খালি রয়েছে।


এছাড়া চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে করোনা রোগীদের জন্য বরাদ্দকৃত ৫টি আইসিইউ শয্যার মধ্যে ৩টিই খালি রয়েছে।


অন্যদিকে করোনার চিকিৎসা দেওয়া বেসরকারি মা ও শিশু হাসপাতালে ৮টি আইসিইউ’র সবগুলো পূর্ণ রয়েছে। তবে ইউএসটিসি বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল হাসপাতালের ২টি আইসিইউ খালি পড়ে রয়েছে।


বেসরকারি হাসপাতাল পার্কভিউতে ১৩টি আইসিইউ শয্যার মধ্যে ২টি, মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ২টি এবং ম্যাক্স হাসপাতালে ১টি আইসিইউ শয্যা খালি রয়েছে।


হাসপাতালগুলোর দায়িত্বরত ব্যক্তিরা জানান, আগে যে পরিমাণ রোগীর চাপ ছিল, সেখানে এখন রোগীর পরিমাণ অনেক কমে এসেছে। এখন প্রতিদিনই ২-৩টি করে আইসিইউ খালি থাকছে।


সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বাংলানিউজকে বলেন, আগে সব ধরণের রোগীরা হাসপাতালে এসে ভিড় করতেন। কিন্তু বর্তমানে মুমূর্ষু রোগীরাই হাসপাতালে আসছেন। তাই হাসপাতালগুলোতে আইসিইউ খালি থাকছে।  


‘মৃদু উপসর্গ থাকা রোগীরা সহজে হাসপাতালমুখী হতে চান না। যে কারণে রোগীর চাপ অনেক কমে এসেছে। আবার বেসরকারি হাসপাতালগুলো করোনা রোগীদের চিকিৎসা শুরু করার কারণে আর্থিকভাবে স্বচ্ছল রোগীরা ওইসব হাসপাতালে চলে যাচ্ছেন। ’


বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০২০
এমএম/এমআর/টিসি
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।