চট্টগ্রাম: ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের পশুর হাটগুলোতে আসতে শুরু করেছে কোরবানির পশু।
এখনও বেচাকেনা শুরু না হলেও লাভের আশায় বেপারিরা আগেভাগেই হাটে নিয়ে এসে গরু-মহিষের পরিচর্যা করছেন।
নগরের সবচেয়ে বড় পশুর হাট সাগরিকা ও বিবিরহাটে ট্রাকে আসছে পশু।
এবারের ঈদুল আজহায় চট্টগ্রামে ৭ লাখ ৩১ হাজার পশু কোরবানি হবে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তারা। চট্টগ্রামের দেশীয় গরু দিয়েই কোরবানির পশুর চাহিদা মেটানো সম্ভব বলে জানান তারা।
দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মতো চট্টগ্রামে খামারি ও পারিবারিকভাবে গরু উৎপাদন বেড়েছে। নগর ছাড়াও জেলার পটিয়া, চন্দনাইশ, আনোয়ারা, বাঁশখালী, লোহাগাড়া, সাতকানিয়া, মিরসরাই, সীতাকুণ্ড, সন্দ্বীপ, হাটহাজারী, রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, ফটিকছড়ি, বোয়ালখালীতে খামারি ও ব্যক্তি উদ্যোগে পশু পালন বেড়েছে।
কোরবানির মৌসুমে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কৃত্রিম উপায়ে পশু মোটাতাজা করেন। এসব পশুর মাংস মানবদেহের জন্য চরম ক্ষতিকর বলে জানান চট্টগ্রামের জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক।
ডা. রেয়াজুল হক বাংলানিউজকে জানান, এই বছর কোরবানিতে গরু-ছাগলসহ পশুর চাহিদা রয়েছে ৭ লাখ ৩১ হাজার। চট্টগ্রামে গরু-ছাগলসহ কোরবানির পশু উৎপাদন হয়েছে ৬ লাখ ৮৯ হাজার ২২টি।
তিনি বলেন, এই বছর গরু-ছাগলসহ কোরবানি পশুর উৎপাদন বেশি হওয়ায় চাহিদা এবং উৎপাদন প্রায় কাছাকাছি। আশা করি, কোরবানিতে পশুর কোনও সংকট হবে না।
‘উৎপাদনের এই ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী বছর পশু উৎপাদন কোরবানিতে চাহিদার চেয়ে বেশি হবে। ’
চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় পশুর বাজার সাগরিকা পশুর হাটে গিয়ে দেখা যায়, কুষ্টিয়া থেকে বড় ট্রাকে করে আনা গরুগুলো নামানো হচ্ছে।
বেপারিরা বাংলানিউজকে জানান, বন্যায় পশুর খাদ্য সংকট দেখা দেওয়ায় আগেভাগে গরু হাটে নিয়ে এসেছি। গত বছরের তুলনায় এ বছর গরুর দাম বেশি। কোরবানিতে সাগরিকা হাটে প্রতিবছর হাজার হাজার গরু-মহিষ ও ছাগল কেনাবেচা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০২০
এমআর/টিসি