ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নগর আঁধারে ডুবে থাকে না এটাই আমার বড় অর্জন: নাছির

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০২০
নগর আঁধারে ডুবে থাকে না এটাই আমার বড় অর্জন: নাছির নগর আঁধারে ডুবে থাকে না এটাই আমার বড় অর্জন: নাছির

চট্টগ্রাম: পাঁচ বছর দায়িত্ব পালনকালে অঙ্গীকার ও নাগরিক প্রত্যাশা পূরণে সচেষ্ট ছিলেন উল্লেখ করে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, নাগরিক সেবা বাড়াতে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায় নাগরিক প্রত্যাশা পূরণের পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছি। এ নগর অন্ধকারে ডুবে থাকে না এটাই আমার বড় অর্জন।

শনিবার (২৫ জুলাই) আন্দরকিল্লায় কেবি আবদুচ ছাত্তার মিলনায়তনে চসিক বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীদের সঙ্গে সমন্বয় সভায় মেয়র এসব কথা বলেন।  

করোনাকালীন দুঃসময়ে চসিকের বিদ্যুৎ কর্মীরা ঝুঁকি নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় আলোকায়নের কাজ চালিয়ে যাওয়ায় ধন্যবাদ জানিয়ে মেয়র বলেন, আপনাদের দূরদর্শী কর্মক্ষমতায় এমন সংকটকালেও চসিকের সড়কবাতি সচল ছিল।

বর্তমানে ভারী বর্ষণেও জনগণ স্বাচ্ছন্দ্যে রাস্তায় চলাফেরা করতে পারছে। প্রধান প্রধান সড়ক ও অলিগলিতে আলোকায়ন এখন চসিকের অন্যতম সেবা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বিদ্যুৎ বিভাগে কর্মরত কর্মচারীদের হাতে চসিকের পরিচয়পত্র ও মুখে পরার মাস্ক তুলে দিয়ে মেয়র বলেন, ইদানীং দেখা যাচ্ছে চসিকের বিদ্যুৎ লাইন থেকে অসাধু একটি চক্র অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে এর অপব্যবহার করছে। এই বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্তদের সতর্ক থেকে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।  
বিদ্যুৎ কর্মীরা  যাতে কোনো ধরনের সমস্যায় না পড়েন সেজন্য চসিক প্রদত্ত পরিচয়পত্র সার্বক্ষণিক সঙ্গে রাখার নির্দেশনাও দেন সিটি মেয়র।

৩০০ কোটি টাকা দেনাসহ দায়িত্ব নিয়েছিলাম

মেয়র বলেন, সিটি করপোরেশনের ঠিকাদারদের প্রায় ১৮১ কোটি টাকা এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতাসহ প্রায় ৩০০ কোটি টাকার দায়-দেনার ভার কাঁধে নিয়ে আমি দায়িত্ব নিয়েছে। ধীরে ধীরে এ সংকট কাটিয়ে চসিককে স্বাবলম্বী করেছি। আমি বিশ্বাস করি সদিচ্ছা থাকলে কঠিনকে জয় করা কোনো কঠিন কাজ নয়।  

তিনি বলেন, প্রশাসনিক শৃঙ্খলা এবং প্রতিটি ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আনা ও অনিয়ম দূর করার শতভাগ সফল হওয়ার লক্ষ্যেই আমি কাজ করেছি। করপোরেশনের স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে বছরে প্রায় ২৫-৩০ কোটি টাকা ভর্তুকি  দেওয়াসহ এ দু'টি বিভাগকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল। তা সত্ত্বেও নগরবাসীর প্রত্যাশা অনুযায়ী পরিচ্ছন্নতা, উন্নয়ন, আলোকায়নের সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতের পরিকল্পিত উন্নয়নের চেষ্টা করেছি। নগরের পরিবেশ উন্নয়ন ও স্বাস্থ্যসম্মত নগরের স্বার্থে রাতে আবর্জনা অপসারণ, নগরীর প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক মোড়কে দৃষ্টিনন্দন ও সবুজায়ন এবং বিলবোর্ডমুক্ত নগর উপহার দিয়েছি।  

মেয়র আক্ষেপ করে বলেন, বর্তমান চলমান সংকট করোনার কারণে সারা দেশের মতো নগরের উন্নয়নকাজ ধীরগতিতে হচ্ছে। তবে সংশ্লিষ্ট সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় চট্টগ্রামকে নান্দনিক, গ্রিন ও ক্লিন সিটিতে উন্নীত করার যে প্রয়াস আমি হাতে নিয়েছি তা পরবর্তী নেতৃত্ব অব্যাহত রাখবে।  

সভায় জানানো হয়, ১৯৯৪ সালের আগে চসিকের আওতাধীন ৪১টি ওয়ার্ডের মধ্যে মাত্র ১৮টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় সড়ক বাতির ব্যবস্থা ছিল। পরবর্তীতে ৪১টি ওয়ার্ড এলাকায় আলো সেবা প্রদান কার্যক্রম পর্যায়ক্রমে সম্প্রসারিত হয়। যার সংখ্যা বর্তমানে সোডিয়াম ও এলইডি বাতিসহ ৫১ হাজার ৫৭৩টি।  

সভায় মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ঝুলন কান্তি দাশ, সহকারী প্রকৌশলী রেজাউল বারী, আনোয়ারুল হক চৌধুরী, সালমা বেগম, সিবিএর জাহেদুল আলম চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০২০
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।