ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আসাম-ত্রিপুরার ১০২ টন ট্রানজিট পণ্য এখন আখাউড়ায়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৭ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০২০
আসাম-ত্রিপুরার ১০২ টন ট্রানজিট পণ্য এখন আখাউড়ায় আসাম-ত্রিপুরার ১০২ টন ট্রানজিট পণ্য এখন আখাউড়ায়

চট্টগ্রাম: কলকাতা থেকে জাহাজে চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে সড়কপথে ট্রানজিটের প্রথম ট্রায়াল রানের ১০২ টন পণ্য এখন আখাউড়ায় পৌঁছেছে।

বুধবার (২২ জুলাই) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ট্রানজিটের চার কনটেইনার ভর্তি পণ্য নিয়ে চারটি ট্রেইলর (লরি) আখাউড়া পৌঁছায়।

এর আগে ভোররাত ২টার দিকে চট্টগ্রাম বন্দরের সিসিটি-২ নম্বর গেট দিয়ে চট্টমেট্টো-ঢ-৮১-৩২২৬, চট্টমেট্টো-ঢ-৮১-৩৮৯০, চট্টমেট্টো-ঢ-৮১-৩০৮৪, চট্টমেট্টো-ঢ-৮১-১৫৬৬ নম্বরের ট্রেইলরগুলো যাত্রা শুরু করে।  
কাস্টম হাউসের কমিশনার মোহাম্মদ ফখরুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী বিভিন্ন খাতে ১৩ হাজার টাকার বেশি মাশুল আদায়ের পর তিনজন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ও পর্যাপ্ত আনসার সদস্যের এস্কর্ট দিয়ে বারইয়ার হাট পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

সেখান থেকে কুমিল্লা কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের অধীনে এস্কর্টে আখাউড়া স্থলবন্দরে চালানটি পৌঁছেছে।

সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) সকালে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী আগরতলায় আনুষ্ঠানিকভাবে পরীক্ষামূলক ট্রান্সশিপমেন্টের প্রথম চালান গ্রহণ করবেন।

প্রথম ট্রায়াল রানের চালানটি চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি-১ জেটিতে আনা হয়েছিলো এমভি সেঁজুতি জাহাজে। জাহাজটির স্থানীয় এজেন্ট ম্যাঙ্গো শিপিং লাইনের ব্যবস্থাপক হাবিবুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে প্রথম ট্রায়াল রানের চালানটি সড়কপথে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত পৌঁছাতে পেরেছি আমরা।

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এ ট্রায়াল রানের খরচ বা আয়ের চূড়ান্ত হিসাব আমরা এখনো করিনি। এটা বলতে পারি, কলকাতা থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে একটি কনটেইনার আনতে আমরা ৪০০ ডলার ভাড়া নিয়ে থাকি। বাংলাদেশি টাকায় যা প্রায় ৩৪ হাজার টাকা। এরপর ট্রেইলর ভাড়া আসবে। বন্দরে প্রতি কনটেইনারে ৪৪ ডলার চার্জ দিতে হবে। এরপরও বিভিন্ন চার্জ আছে। কাস্টমসকে টন প্রতি হিসাব করে বিভিন্ন মাশুল দিতে হয়েছে। সব মিলে বাংলাদেশের ভালো আয় হবে নিঃসন্দেহে।    

সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পাদিত ‘অ্যাগ্রিমেন্ট অন দ্য ইউজ অব চট্টগ্রাম অ্যান্ড মোংলা পোর্ট ফর মুভমেন্ট অব গুডস টু অ্যান্ড ফরম ইন্ডিয়া’ চুক্তি এবং উক্ত চুক্তির আওতায় প্রণীত এসওপি অনুযায়ী ট্রানজিট পণ্যবাহী চারটি কনটেইনারের প্রথম ট্রায়াল রানে ‘এমভি সেঁজুতি’ চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। চট্টগ্রাম বন্দরের বিদ্যমান বার্থিং নীতিমালা অনুযায়ী (ফার্স্ট কাম, ফার্স্ট সার্ভ) জাহাজটি এনসিটি-১ জেটিতে বার্থিং করা হয়।  

গত বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) খিদিরপুরে কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের (বর্তমান নাম শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী বন্দর) গেট নম্বর ৭ থেকে এমভি সেঁজুতি নামে পণ্যবাহী জাহাজে করে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার জন্য দুই টিইইউ’স টিএমটি ইস্পাত এবং দুই টিইইউ’স আসামের করিমগঞ্জের জন্য ডাল বোঝাই করা হয়। এরপর জাহাজটি হলদিয়া যায়। সেখান থেকে মঙ্গলবার (২১ জুলাই) ভোররাতে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে আসে।

>> ত্রিপুরা ও আসামের ট্রানজিট পণ্য এলো চট্টগ্রাম বন্দরে

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০২০
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।