চট্টগ্রাম: ব্যবসা ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে বৈধ আমদানি ও সৎ করদাতাদের সার্বিক সহযোগিতার পাশাপাশি সরকারের রাজস্ব ফাঁকির চেষ্টাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে।
২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট, শুল্ককর হার এবং কাস্টমস অ্যাক্ট, ১৯৬৯ এ আনা পরিবর্তন সম্পর্কিত গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে বিষয়টি জানিয়েছেন চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার মোহাম্মদ ফখরুল আলম।
প্রধান দুইটি পরিবর্তন তুলে ধরে কাস্টমস কমিশনার বলেন, প্রথমত ইমপোর্ট জেনারেল ম্যানিফেস্ট (আইজিএম) দাখিলের ৫ কর্মদিবসের মধ্যে পণ্য খালাসের জন্য বিল অব এন্ট্রি দাখিল করতে হবে। দ্বিতীয়ত আমদানি পণ্য চালানে মিথ্যা বা অসত্য ঘোষণা দিয়ে রাজস্ব ফাঁকির ঘটনা ঘটলে বা ঘটার সম্ভাবনা থাকলে ফাঁকিকৃত রাজস্বের ন্যূনতম দ্বিগুণ ও সর্বোচ্চ চার গুণ ব্যক্তিগত জরিমানা আরোপিত হবে।
তিনি বলেন, সৎ ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করা এবং অসৎ ব্যবসায়ীদের আইন পালনে বাধ্য করার উদ্দেশ্যেই এসব পরিবর্তন আনা হয়েছে। যারা আইনের যথাযথ পরিপালন করে দ্রুত পণ্য খালাস নেবেন তাদের সব ধরনের আইনি সহায়তা দেওয়া হবে। যারা আইনের অপব্যবহারের মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করবেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তাই আমদানিকৃত পণ্য দ্রুততম সময়ে খালাসের জন্য কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে দাখিল করা দলিলাদিতে (এলসি, প্রোফরমা ইনভয়েস, কমার্শিয়াল ইনভয়েস, প্যাকিং লিস্ট, মূল্য ঘোষণা ফরম, কান্ট্রি অব অরজিন ইত্যাদি) পণ্যের সঠিক এইচএস কোড, বিবরণ ও পরিমাণসহ সম্পূর্ণ ও সঠিক তথ্য ঘোষণা বা উপস্থাপনের অনুরোধ জানিয়েছেন কমিশনার।
সূত্র জানায়, গণবিজ্ঞপ্তিটি ইতিমধ্যে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, চেম্বারসহ আমদানি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন, স্টেক হোল্ডারদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২১০ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০২০
এআর/টিসি
