চট্টগ্রাম: বিকেল তিনটা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে ৩৩ দশমিক ৬ মিলিমিটার। থেমে থেমে এতটুকু বৃষ্টিতেই বেহাল চট্টগ্রাম নিম্নাঞ্চল।
নালায় নামতে না পেরে সড়কে জমে যাওয়া বৃষ্টির পানি আর ওয়াসার খোঁড়াখুঁড়ির কাদামাটিতে দুর্ভোগে পড়েন নগরবাসী।
প্রবর্তক মোড়, আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকা, বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, দুই নম্বর গেইট, চকবাজার, খাতুনগঞ্জসহ অধিকাংশ নিম্নাঞ্চলের সড়ক ও অলিগলিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এসব এলাকার নিচতলার বাসা-বাড়ি ও দোকানপাটে পানি ঢুকে যায়। কোনো কোনো সড়কে রিকশাভ্যানে যাত্রী পরিবহন করতে দেখা যায়।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ উজ্জ্বল কান্তি পাল বাংলানিউজকে জানান, বিকেল তিনটা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ৩৩ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আগের ২৬ ঘণ্টায় রেকর্ড হয় ২৭ দশমিক ৬ মিলিমিটার।
তিনি জানান, বুধবার (২২ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে- আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে। সেই সঙ্গে অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ী দমকা/ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তা ছাড়া মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশ উপকূলীয় এলাকা এবং সমুন্দ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। দিনের এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
দক্ষিণ ও দক্ষিণ পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ১০-১২ কিলোমিটার বেগে, যা অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়ার আকারে সর্বোচ্চ ৪৫-৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে।
চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত এবং নদীবন্দরে ১ নম্বর নৌ সতর্কতা সংকেত বহাল রয়েছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩১ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০২০
এআর/টিসি