ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

খামারের গরু কিনছেন ক্রেতারা

নিউজরুম এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২২ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০২০
খামারের গরু কিনছেন ক্রেতারা খামারের গরুতেই আগ্রহ ক্রেতাদের। ছবি: বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে বিভিন্ন খামারে গিয়ে গরু কিনছেন ক্রেতারা। অনেকে ফেসবুকভিত্তিক বিভিন্ন পেজ ও গ্রুপে পোস্ট করা কোরবানির পশু পছন্দ করে মোবাইল ফোনেই সেরে নিচ্ছেন দর-দাম।

জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্র জানায়, জেলায় ৩ হাজার ৪শ গরুর খামার রয়েছে। এর মধ্যে কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা, পটিয়া ও আনোয়ারা এলাকায় সবচেয়ে বেশি খামার রয়েছে।

শুধু শিকলবাহা এলাকায় রয়েছে প্রায় ৫শ খামার।

এসব খামারে প্রায় ৭ লাখ গরু, মহিষ ও ছাগল লালন পালন করেছেন খামারিরা। কোরবানির বাজারকে কেন্দ্র করে পশুগুলো মোটাতাজা করা হয়। করোনার প্রাদুর্ভাবে পশুর হাটে যাওয়া নিয়ে শঙ্কায় থাকা ক্রেতারা এখন এসব খামারমুখী।

এ বছর চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধানে বসছে ৭টি পশুর হাট। এর মধ্যে স্থায়ী হাট সাগরিকা পশুর বাজার, বিবিরহাট গরুর হাট ও পোস্তারপাড় ছাগলের বাজার এবং অস্থায়ী হাট- কমল মহাজন হাট পশু বাজার, সল্টগোলা গরুর বাজার, পতেঙ্গা বাটারফ্লাই পার্কের দক্ষিণে টিকে গ্রুপের খালি মাঠ ও কর্ণফুলী পশুর বাজার।  

এছাড়া পটিয়ায় ১০টি, সাতকানিয়ায় ২৩টি, লোহাগাড়ায় ১৫টি, চন্দনাইশে ১৭টি, বোয়ালখালীতে ৫টি, আনোয়ারা ৩টি, বাঁশখালীতে ১২টি, রাউজানে ১৩টি, রাঙ্গুনিয়ায় ৭টি, সীতাকুণ্ডে ১০টি, মীরসরাইয়ে ৩১টি, ফটিকছড়িতে ৪৯টি, হাটহাজারীতে ১৫টি ও সন্দ্বীপে ১৫টি পশুর হাট বসছে।

সাগরিকা ও বিবিরহাট বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকার খামারি ও উত্তরাঞ্চলের ব্যবসায়ীরা নিজেদের লালন-পালন করা গরু এনেছেন বিক্রির জন্য। এসব গরুর দাম চাওয়া হচ্ছে ৭০ হাজার থেকে আড়াই-তিন লাখ টাকা। তবে কাঙ্ক্ষিত ক্রেতা মিলছে না। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে বৃষ্টির দুর্ভোগ।

জানা গেছে, অনলাইনে ‘শাহ আমানত অ্যাগ্রো’, ‘সিটিজিবাইডটকম গরু-ছাগলের অনলাইন হাট চট্টগ্রাম’, ‘চাটগাঁইয়া গরুর হাট’, ‘অনলাইন কোরবানির গরুর বাজার চট্টগ্রাম’ সহ খামারিরা তাদের খামারের নামে কোরবানির পশুর বিক্রি করছেন। এছাড়া ‘বিক্রয় ডটকম’, ‘দারাজ’ প্রভৃতি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানও অনলাইনে চট্টগ্রামে পশু বিক্রি করছে। খামারের ব্রাহামা, অস্ট্রেলিয়ান, ফ্রিজিয়ান, হলেস্ট্রেইন ফিজিয়ান, ফ্রিজিয়ান জার্সি জাতের গরু কিনতে আগ্রহ বেশি ক্রেতাদের।

পটিয়ার শিকলবাহা এলাকার শাহ আমানত অ্যাগ্রো’র ম্যানেজার মোয়াজ্জেম হোসেন সজীব বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের খামারে ৯০টি গরুর মধ্যে অনলাইনে যোগাযোগ করে ক্রেতারা ৬০টি কিনে নিয়েছেন। এসব গরু কোরবানির আগের দিন খামার থেকে নিয়ে যাবেন ক্রেতারা। এখন ১৮ লাখ টাকা দামের থাইল্যান্ডের একটি গরু কিনতে ক্রেতারা আগ্রহ দেখাচ্ছেন।

কালুরঘাটের সারা অ্যাগ্রো ফার্মের উদ্যোক্তা আলিফ ইকবাল চৌধুরী বলেন, আমাদের খামারে ২শ গরু আছে। বিভিন্ন সাইজের এসব গরু ৫০ হাজার থেকে ১৮ লাখ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এরইমধ্যে বেশ কয়েকটি গরু বিক্রি হয়েছে।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রিয়াজুল হক বলেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে অনেক ক্রেতা এখন পশুর হাটে না গিয়ে খামারমুখী হচ্ছেন। চট্টগ্রামে ৬ লাখ ৮৯ হাজার পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে। এর মধ্যে ৪ লাখ ৮৯ হাজার গরু-মহিষ ও দুই লাখ ছাগল।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৩ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০২০
এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।