চট্টগ্রাম: ১১১ কোটি টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) সেবকদের জন্য ১৪তলা ৪টি ভবনের নির্মাণকাজ উদ্বোধন করেছেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
প্রতিটি ফ্ল্যাটে একেক পরিবারের জন্য ৪৩৫ বর্গফুট জায়গা থাকবে।
সোমবার (২০ জুলাই) নগরের ৩২ নম্বর আন্দরকিল্লা ও ৩৩ নম্বর ফিরিঙ্গিবাজার ওয়ার্ডে অত্যাধুনিক পরিচ্ছন্নকর্মী ভবন নির্মাণকাজের উদ্বোধনকালে মেয়র এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত ইচ্ছা ও প্রণোদনায় চট্টগ্রামের পরিচ্ছন্নকর্মীদের জন্য বাসযোগ্য অত্যাধুনিক আবাসন ভবন নির্মাণ উদ্যোগ সমাজের কর্মজীবী প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর বাসস্থানের মৌলিক অধিকার পূরণের একটি ভিত্তি সোপান। এ অধিকার আদায়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আমার নিবেদনে তিনি সাড়া দিয়ে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ ও প্রকল্প প্রস্তাবনাপত্র চার বার কাটছাঁট করে তা চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়ে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক নিরাপত্তার পথিকৃৎ হলেন এবং সমাজ প্রগতির-সফল রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে হিমালয় সম উচ্চতায় উন্নীত হলেন। তাই শেখ হাসিনা প্রান্তিক মানুষের আর্থ সামাজিক নিরাপত্তার স্তম্ভ।
মেয়র বলেন, আমি আমার ছাত্রজীবন থেকেই দেখছি তাদের বাসস্থান বা কলোনিগুলোর অবস্থা খুবই শোচনীয় এবং অপরিচ্ছন্ন ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তারা জীবনধারণ করছেন। আমার পূর্বসূরি মেয়র হিসেবে যারা ছিলেন তারাও চেষ্টা করেছেন সেবক শ্রেণির জীবনমান উন্নয়নে। আমি তাদের কাছে প্রাণিত হয়ে পরিচ্ছন্ন কর্মীদের জীবনমান উন্নয়নের পূর্বশর্ত হিসেবে তাদের আবাসন সংস্থানের বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিয়ে তা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করি। চলমান করোনা পরিস্থিতির কারণে চট্টগ্রামসহ সারা দেশে মেগা প্রকল্পগুলোর কাজ কিছুটা হলেও গতি হারিয়েছে। কিন্তু চট্টগ্রামে সেবক কলোনিতে পরিচ্ছন্ন কর্মীদের আবাসন ভবন নির্মাণকাজের জন্য বরাদ্দ আংশিক কমিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন অব্যাহত রাখার উদ্যোগ চলমান রয়েছে। এ জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি শুধু ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানানোই যথেষ্ট নয়, এ জনকল্যাণমুখী চেতনাকে আমরা যারা রাজনীতি করি তাদের অন্তরে ধারণ করতে পারলে সমাজ প্রগতির ধারা তীব্রতর হবে।
মেয়র পরিচ্ছন্ন কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, সম্প্রতি পরিচ্ছন্ন কাজের গতি বাড়াতে ডোর টু ডোর আবর্জনা সংগ্রহে প্রায় ২ হাজার পরিচ্ছন্ন কর্মী নিয়োগ দিয়েছি। এ নিয়োগে সেবক কলোনির কর্মীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।
কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী ও হাসান মুরাদ বিপ্লবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, ইসমাইল বালী, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর আঞ্জুমান আরা বেগম, লুৎফুন্নেছা দোভাষ বেবী, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মনিরুল হুদা, ঝুলন কান্তি দাশ, নির্বাহী প্রকৌশলী ফরহাদুল আলম, সহকারী প্রকৌশলী সালমা বেগম, মো. মিজবাউল আলম, মো. রিফাতুল আলম, উপ-সহকারী প্রকৌশলী তানজিম ভূইয়া, ঠিকাদার আশীষ কুমার দাশ, দিদারুল আলম, সায়েম রিজভীসহ নাসির আহমেদ, মাহমুদুর রহমান বাবুল, মোহাম্মদ ইসহাক মিয়া, মঞ্জুর আলম, মঞ্জুর মোরশেদ, ছগির আহম্মদ, মোহাম্মদ ইউনুস, খোরশেদ আলম রহমান, তাজউদ্দিন রিজভী, তানভীর আহমেদ রিংকু, জাহাঙ্গীর আলম, খালেক হোসেন, আব্দুল আজিজ, এনামুল হক, আব্দুল মতিন, আব্দুল গফুর সুমন, মো. মহিউদ্দিন, অসিউর রহমান, মো. পারভেজ, নুরুল আজিম, আকতার মিয়া, সরওয়ার সরকার, সামিউল হাসান, মো. আজম, অনিন্দ্য দেব, মো. নজরুল, মো. নাবেদ, প্রমুখ।
মোনাজাত পরিচালনা করেন ফিরিঙ্গিবাজার জামে মসজিদের সহকারী ইমাম হাফেজ আব্দুল আওয়াল। গীতা পাঠ করেন আকাশ বাবু।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০২০
এআর/টিসি