মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) অধিদফতরের নিয়মিত বাজার তদারকি অভিযানে এ অভিযোগের নিষ্পত্তি করা হয়।
নগরের বায়েজিদ, চান্দগাঁও, কোতোয়ালী, হালিশহর ও চকবাজার থানা এলাকায় তদারকিমূলক অভিযানে ১২ প্রতিষ্ঠানকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর বিভিন্ন ধারায় ৫৮ হাজার টাকা প্রশাসনিক জরিমানা করা হয়েছে।
এ সময় অননুমোদিত রং, ফ্লেভার, নকল চেরি, মেয়াদোত্তীর্ণ জন্মদিনের কেক, মেয়াদোত্তীর্ণ কোমল পানীয়, মেয়াদবিহীন ও অননুমোদিত ওষুধ ধ্বংস করা হয়।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সহায়তায় অভিযানে নেতৃত্ব দেন অধিদফতরের বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ, সহকারী পরিচালক নাসরিন আক্তার, সহকারী পরিচালক (মেট্রো) পাপীয়া সুলতানা লীজা ও জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান।
মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, বায়েজিদ থানার কুয়াইশ বাজারের মেজবান সুইটসকে মেয়াদোত্তীর্ণ কোমল পানীয় ও জন্মদিনের কেক রাখায় ৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বুড়িশ্চর এলাকার বাটারবল বেকারিকে অননুমোদিত ফ্লেভার, রং এবং নকল চেরি রাখায় ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করে অননুমোদিত পণ্য ধ্বংস করা হয়।
চান্দগাঁও থানার পশ্চিম মোহরা এলাকার শান্তি ফার্মেসিকে অনিবন্ধিত বিদেশি ওষুধ ও সরকারি ওষুধ বিক্রির জন্য সংরক্ষণ করায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে অনিবন্ধিত ওষুধ ধ্বংস করা হয়।
একই এলাকার রাউজান ফার্মেসিকে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সংরক্ষণ করায় ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। মা-বাবার দোয়া স্টোরকে মেয়াদোত্তীর্ণ কোমল পানীয় রাখায় ৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। মুনতাহা স্টোরকে মূল্য তালিকা না রাখায় ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
কোতোয়ালী থানার জামালখান এলাকার আনন্দ বাজারকে মেয়াদোত্তীর্ণ কোমল পানীয় সংরক্ষণ করায় ৩ হাজার টাকা জরিমারা করা হয়। একই এলাকার সেবা নিকেতনকে বেশি দামে হেক্সিসল বিক্রয় করায় ৩ হাজার টাকা জরিমানাসহ সতর্ক করা হয়।
হালিশহর থানার বড়পুল এলাকার জাবেদ স্টোরকে মূল্য ঘষামাজা করে স্যাভলন বিক্রি করায় ৬ হাজার টাকা জরিমানাসহ সতর্ক করা হয়।
চকবাজার থানার চমেক পূর্ব গেট এলাকার সজীব মেডিক্যাল হলকে মেয়াদবিহীন কাটা ওষুধ বিক্রির জন্য সংরক্ষণ করায় ৩ হাজার টাকা জরিমানাসহ ওষুধ ধ্বংস করা হয়। হিরা ফার্মেসিকে একই অপরাধে ২ হাজার টাকা জরিমানাসহ সতর্ক করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০২০
এআর/টিসি