গণমাধ্যমে এই ঘটনা তুলে ধরে বক্তব্য দেওয়ায় উল্টো ওই ভুক্তভোগীকে ধরে আনতে পুলিশ পাঠিয়েছেন মধ্যম হালিশহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই নাছির।
ভুক্তভোগী রফিক পুলিশের ভয়ে মোবাইল বন্ধ করে দিয়ে পালিয়ে গেছেন।
মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) ভুক্তভোগী রফিককে ধরে আনতে তার বাসায় গেছেন বলে বাংলানিউজের কাছে স্বীকারও করেছেন বন্দর থানার এএসআই এরশাদ।
সোমবার সন্ধ্যায় রফিকের পরিচিত সিরাজ ও নাসির নামে দুইজনকে মধ্যম হালিশহর পুলিশ ফাঁড়িতে ডেকে নিয়ে আসেন এসআই নাছির। সেখানে রফিককে হাজির করতে তাদের কড়াভাবে নির্দেশ দেন তিনি।
বন্দর থানার এএসআই এরশাদ মঙ্গলবার সকালে রফিককে ধরে আনতে তার বাসায় যান। পুলিশ আসার খবর পেয়ে মোবাইল বন্ধ করে দিয়ে পালিয়ে যান ভুক্তভোগী রফিক।
জানতে চাইলে এএসআই এরশাদ বাংলানিউজকে বলেন, হ্যাঁ, রফিকের বাসায় গিয়েছি তাকে খুঁজতে। তবে তিনি বাসায় ছিলেন না।
রফিকের পূর্ব পরিচিত নাসির বাংলানিউজকে বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় এসআই নাছির স্যার আমাদের ডেকেছিলেন। রফিকের বিষয়টি সমাধান করতে বলেছেন।
মঙ্গলবার সকালে এএসআই এরশাদ তাকে সঙ্গে নিয়ে রফিকের বাসায় যান বলে জানান নাসির।
জানতে চাইলে মধ্যম হালিশহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই নাছির বাংলানিউজকে বলেন, আমি কারো সঙ্গে মিটিং করিনি। রফিককে ডাকতে এএসআই এরশাদকে আমি কেন পাঠাবো? আমি পাঠাইনি।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকান্ত চক্রবর্তী বাংলানিউজকে বলেন, বিষয়টি আমি জানি না। এটি সিনিয়র স্যাররা দেখছেন।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (বন্দর) মো. কামরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, বিষয়টি আমরা তদন্ত করছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এএসআই এরশাদ ভুক্তভোগী রফিককে ধরে আনতে গিয়েছিলেন- বিষয়টি জানালে উপ-কমিশনার মো. কামরুল ইসলাম বলেন, এরকম কিছু আমি জানি না।
এদিকে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে নিজের অপকর্ম ঢাকতে স্থানীয় গ্রুপিং রাজনীতির শিকার বলে প্রচার করছেন এসআই নাছির। স্থানীয় সংসদ সদস্যের নাম ভাঙিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বুঝানোর চেষ্টা করছেন- তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।
বাংলানিউজে মধ্যম হালিশহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই নাছিরের অপকর্মের সংবাদ প্রকাশের পর থেকে বিভিন্ন ভুঁইফোড় অনলাইনে তার কাজের ‘সুনাম করিয়ে’ সংবাদও প্রচার করাচ্ছেন তিনি। নিজের ফেসবুক আইডি থেকে তা শেয়ারও করছেন নিয়মিত।
আরও খবর>>
** পুলিশ ফাঁড়িতে ধরে নিয়ে টাকা আদায়, আতঙ্কে ব্যবসায়ীরা!
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫১ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০২০
এসকে/এমআর/টিসি