এখানকার পেঁয়াজের বড় বিপণিকেন্দ্র হামিদুল্লাহ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ইদ্রিস বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিবছর কোরবানির কয়েক সপ্তাহ আগে থেকেই পেঁয়াজের আড়তে জমজমাট বেচাকেনা হতো। দূরদূরান্ত থেকে ভাসমান খুচরা বিক্রেতা, মুদি দোকানিরা পেঁয়াজ, রসুন ও আদা কিনতে আসতেন।
তিনি জানান, ভারতের নাসিক ও ইন্দুরি পেঁয়াজের সরবরাহ ভালো।
মেসার্স কামাল উদ্দিন অ্যান্ড ব্রাদার্সের ব্যবস্থাপক বাংলানিউজকে জানান, সবচেয়ে ভালো মানের ভারতীয় পেঁয়াজ ২১-২২ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া নিম্নমানের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৬ টাকা।
বন্দরে নিলাম হওয়া হল্যান্ডের কিছু পেঁয়াজ খাতুনগঞ্জে এসেছে। এসব পেঁয়াজ বিক্রিই হচ্ছে না। এক বেপারী কয়েকদিন আগে বেনাপোল থেকে ২৯ হাজার টাকা গাড়ি ভাড়া দিয়ে এক ট্রাক পেঁয়াজ আনলো। পচন ধরায় বিক্রি করে মাত্র ২৩ হাজার টাকা পেলেন। গাড়িভাড়াই তুলতে পারেননি।
একজন আড়তদার জানান, দেশি পেঁয়াজের ঝাঁজ যেমন বেশি তেমনি মানও ভালো। মূলত বিরিয়ানি, চাইনিজ রান্না আর উত্তরবঙ্গের লোকজনের কাছে এ পেঁয়াজের কদর বেশি। আড়তে প্রতিকেজির দাম ৪২-৪৩ টাকা। চট্টগ্রামের বাজারে ভারতের পেঁয়াজই বেশি চলে।
তিনি জানান, ভালো মানের চীনা আদা ১০৫ টাকা, চীনা রসুন ৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে পাইকারিতে। নিম্নমানের আদা ৫৫ টাকাও বিক্রি হচ্ছে। পচনশীল পণ্য হওয়ায় একটু দাগ লাগলেই দাম কমে যায়।
এদিকে নগরের বিভিন্ন মোড়ে, অলিগলিতে ভাসমান বিক্রেতা ও রিকশাভ্যানে খুচরায় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৫-২৮ টাকা। মুদির দোকানে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২৮-৩০ টাকা।
পেঁয়াজ, রসুন ও আদার দাম সহনীয় থাকলেও কঠোর নজরদারির দাবি জানিয়েছেন কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) বিভাগীয় সমন্বয়কারী কামরুন নাহার শম্পা।
তিনি বলেন, কিছু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে কোনো পণ্যের কৃত্রিম সংকট, মজুদদারির মাধ্যমে রাতারাতি দাম বাড়িয়ে দেওয়ার প্রবণতা রয়েছে। পেঁয়াজ, রসুন ও আদা নিয়ে ভোক্তাদের তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাই পাইকারি ও খুচরা বাজারে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি থাকতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০২০
এআর/টিসি