ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রেলওয়ে চট্টগ্রাম থেকে ৫ লাখ ৮৫ হাজার টাকা পাবেন যাত্রীরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০২০
রেলওয়ে চট্টগ্রাম থেকে ৫ লাখ ৮৫ হাজার টাকা পাবেন যাত্রীরা ...

চট্টগ্রাম: করোনা ভাইরাসের কারণে ২৪ মার্চ সন্ধ্যা থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত যাত্রা বাতিল হওয়া ট্রেন যাত্রীদের টিকিটের দাম ফেরত দেবে রেলওয়ে। অগ্রিম টিকিট বাবদ রেলওয়ে চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে ৫ লাখ ৮৫ হাজার ৯৮৩ টাকা পাবেন ২ হাজার ৫১৯ জন যাত্রী।

টিকিটের টাকা ফেরত চেয়ে নিজ নিজ স্টেশন মাস্টারের মাধ্যমে সিসিএম পূর্ব/চট্টগ্রাম বরাবর আবেদন করতে হবে। প্রমাণ হিসেবে টিকিটের মূলকপি, অনলাইনে টিকিট কিনে থাকলে প্রিন্টেড কপির সঙ্গে এনআইডির সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে।

১০ জুলাই থেকে আবেদন শুরু হয়েছে। চলবে আগামী ১৭ জুলাই পর্যন্ত।

সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত এই আবেদন করা যাবে। গত ৩১ মার্চ পর্যন্ত অগ্রিম টিকিট বিক্রি হলেও করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে ২৪ মার্চ সন্ধ্যা থেকে বন্ধ হয়ে যায় যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বাণিজ্যিক বিভাগ সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে ৫ হাজার ৬০৭ জন যাত্রী অগ্রিম টিকিট নিয়েছিলেন। যেখানে মোট আয় হয় ১৭ লাখ ৬৫ হাজার ৭৫ টাকা। এরমধ্যে ৩ হাজার ৭০১ জনকে ১২ লাখ ৭৮ হাজার ৭২২ টাকা রিফান্ড দেওয়া হয়। বাকি ১ হাজার ৯০৬ জনের ৪ লাখ ৮৬ হাজার ৩৫৩ টাকা রেলওয়েতে থেকে যায়।  

ফেনী স্টেশনে ২৭০ জন যাত্রীর অগ্রিম টিকিট থেকে আয় ৫৬ হাজার ২১০ টাকা। এরমধ্যে ১৪৩জন যাত্রীকে ৩৮ হাজার ১২২ টাকা রিফান্ড দেওয়া হয়। বাকি ১২৭ জন যাত্রীর ১৮ হাজার ৮৮ টাকা রেলওয়েতে থেকে যায়।

লাকসাম স্টেশনে ৩৬৮ জন যাত্রীর অগ্রিম টিকিট থেকে আয় ৬৮ হাজার ৬৫ টাকা। এরমধ্যে ২৬৮ জন যাত্রীকে ৫৫ হাজার ২৩১ টাকা রিফান্ড করা হয়। বাকি ১০০ জন যাত্রীর ১২ হাজার ৮৩৪ টাকা রিফান্ড করা হয়নি।

কুমিল্লা স্টেশনে ৮৫৭ জন যাত্রীর অগ্রিম টিকিট বাবদ আয় ১৫ লাখ ৮৪ হাজার ২০ টাকা। এরমধ্যে ৬১৯ন যাত্রীকে ১২ লাখ ১৮৬ টাকা রিফান্ড দেওয়া হয়। বাকি ২৩৮ জন যাত্রীর ৩৮ হাজার ২৩৪ টাকা রেলওয়েতে থেকে যায়।

কসবা স্টেশনে ৪৬০ জন যাত্রী থেকে অগ্রিম টিকিট বাবদ আয় হয় ৭৩ হাজার ১৮০ টাকা। এরমধ্যে ৪২৫জন যাত্রীকে ৬৮ হাজার ৬৯০ টাকা রিফান্ড করা হয়। বাকি ৩৫ জন যাত্রীর ৫ হাজার ৬১০ টাকা রেলওয়েতে থেকে যায়।
চাঁদপুর স্টেশনে ৮৮ জন যাত্রী থেকে অগ্রিম টিকিট বাবদ আয় হয় ১৬ হাজার ৩৪৫ টাকা। এরমধ্যে ৪ জন যাত্রীকে ৭৮০ টাকা রিফান্ড করা হয়। বাকি ৮৪ জন যাত্রীর ১৫ হাজার ৫৬৫ টাকা রেলওয়েতে থেকে যায়।

নোয়াখালী স্টেশনে ৩৮ জন যাত্রী থেকে অগ্রিম টিকিট বাবদ আয় হয় ১২ হাজার ৮৩০ টাকা। এরমধ্যে ৯ জন যাত্রীকে ৩ হাজার ৫৩১ টাকা রিফান্ড করা হয়। বাকি ২৯ জন যাত্রীর ৯ হাজার ২৯৯ টাকা রেলওয়েতে থেকে যায়।

মোট ৭ স্টেশনে ৭ হাজার ৬৮৮ জন যাত্রী থেকে অগ্রিম টিকিট বাবদ আয় হয় ২১ লাখ ৫০ হাজার ১২৫ টাকা। এরমধ্যে ৫ হাজার ১৬৯ জন যাত্রীকে ১৫ লাখ ৬৫ হাজার ২৬২ টাকা রিফান্ড করা হয়। বাকি ২ হাজার ৫১৯ জন যাত্রীর ৫ লাখ ৮৫ হাজার ৯৮৩ টাকা রেলওয়েতে থেকে যায়।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা আনসার আলী বাংলানিউজকে বলেন, ১০ জুলাই অগ্রিম টিকিটের টাকার জন্য আবেদন শুরু হয়েছে। প্রমাণ হিসেবে টিকিটের মূলকপি, অনলাইনে টিকিট কিনে থাকলে প্রিন্টেড কপির সঙ্গে এনআইডির সত্যায়িত কপি জমা দিলে অগ্রিম টিকিটের টাকা যাত্রীদের ফেরত দেওয়া হবে।

করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে দুই মাসের বেশি সময় দেশে সাধারণ ছুটির পর গত ৩১ মে থেকে আট জোড়া এবং ৩ জুন আরও ১১ জোড়া যাত্রীবাহী ট্রেন নামানো হয়। ১৭ দিনের মাথায় যাত্রী সংকটে দুটি রুটে ট্রেন সাময়িক স্থগিত করে রেল কর্তৃপক্ষ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৭ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০২০
জেইউ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad