মুক্তিযুদ্ধের পর চট্টগ্রাম বন্দরের প্রবেশমুখে ছিল অসংখ্য ভাসমান মাইন এবং নিমজ্জিত জাহাজ। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ২ মার্চ তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক লিওনিদ ব্রেঝনেভ এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে চট্টগ্রাম বন্দরকে সচল করার জন্য সহযোগিতা চান।
সোভিয়েত ইউনিয়ন সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়। এই কাজ সম্পাদনের জন্য সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রশান্ত মহাসাগরীয় অভিযান ইওএন-১২ গঠণ করে বাংলাদেশে প্রেরণ করে।
ভাসমান মাইন এবং নিমজ্জিত জাহাজ উদ্ধারে কর্মরত রুশ নৌবাহিনীর সদস্য ইউরি রেডকিন ১৯৭৩ সালের ১৩ জুলাই চট্টগ্রাম বন্দরে মাইন অপসারণ অভিযানে কামচাটকা ফ্লোটিলা পিএম ১৫৬ জাহাজে কর্তব্যরত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। তাকে সামরিক মর্যাদায় বাংলাদেশ নেভাল অ্যাকাডেমিতে রেডকিন পয়েন্টে সমাহিত করা হয়।
দেশের ‘সমৃদ্ধির দ্বার’ চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ভাসমান মাইন এবং নিমজ্জিত জাহাজ উদ্ধার করে বন্দরকে সচল করতে জীবন উৎসর্গকারী ইউরি রেডকিনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের উদ্যোগে লালদীঘি এলাকায় নির্মিত হয় রেডকিন মেমোরিয়াল। চলতি বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ইগনাতভ রেডকিন এই মেমোরিয়াল পরিদর্শন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০২০
এমআর/টিসি