বর্তমানে এই সব আইসোলেশন সেন্টারে প্রতিদিন বর্হিবিভাগে সেবা নিচ্ছেন প্রায় শতাধিক রোগী। আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তিও রয়েছেন শ’খানেক রোগী।
চট্টগ্রামে যে সব ফিল্ড হাসপাতাল এবং আইসোলেশন সেন্টার সক্রিয়ভাবে করোনার চিকিৎসা দিচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে- চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতাল, সিটি করপোরেশন আইসোলেশন সেন্টার, করোনা আইসোলেশন সেন্টার, মুক্তি আইসোলেশন সেন্টার, পতেঙ্গা-ইপিজেড ফিল্ড হাসপাতাল, সিএমপি-বিদ্যানন্দ ফিল্ড হাসপাতাল, আল মানাহিল নার্চার জেনারেল হাসপাতাল।
করোনা পরিস্থিতি শুরু হওয়ার পর থেকে চট্টগ্রামে প্রথম ফিল্ড হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া।
এখন পর্যন্ত এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন প্রায় ১ হাজার ৪০০ রোগী। এর মধ্যে করোনা পজেটিভ রোগী ছিলেন ১৩২ জন।
হাসপাতালের সিইও ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া বাংলানিউজকে বলেন, চট্টগ্রামে করোনার সংক্রমণ শুরুর পর থেকে কিছু করার ইচ্ছে থেকেই এই উদ্যোগ। আমরা রোগীদেরকে সাধ্যের মধ্যে মানসম্মত চিকিৎসার নিশ্চয়তা দিতে পেরেছি।
সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের উদ্যোগে একক প্রচেষ্টায় এবং সিকম গ্রুপের সহযোগিতায় নগরের আগ্রাবাদে করা হয়েছে সিটি করপোরেশন আইসোলেশন সেন্টার। ২৫০ শয্যার হাসপাতালটি ইতোমধ্যে সুনাম কুড়িয়েছে।
এখন পর্যন্ত এ আইসোলেশন সেন্টারে ২৩ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪৬ জন। এই আইসোলেশন সেন্টার থেকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে ৮২ জন রোগীকে।
এই আইসোলেশন সেন্টারের পরিচালক ডা. সুশান্ত বড়ুয়া বাংলানিউজকে বলেন, সিটি করেপোরেশন আইসোলেশন সেন্টারে শুধুমাত্র করোনা রোগীদের ভর্তি রাখা হচ্ছে। এই হাসপাতালে অক্সিজেন সুবিধাসহ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে হাই ফ্লো অক্সিজেনের। এতে করে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার রোগীদের গুণগত সেবা প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিমের উদ্যোগে গড়ে তোলা হয়েছে মুক্তি আইসোলেশন সেন্টার। নগরের বাকলিয়ার তুলাতলীর ওয়েডিং পার্ক কমিউনিটি সেন্টারে ৭০ শয্যার এই আইসোলেশন সেন্টার করা হয়।
এই আইসোলেশন সেন্টারে ১৬ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। এদের মধ্যে করোনা পজেটিভ ৯ জন এবং করোনা উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ৭ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৬ জন রোগী।
মুক্তি করোনা আইসোলেশন সেন্টারের সমন্বয়ক ইফতেখার কামাল খান বাংলানিউজকে বলেন, রোগীদের সব রকম সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। ওষুধ ও খাবারসহ সবকিছুই বিনামূল্যে দেয়া হচ্ছে রোগীদের।
নগরের হালিশহর পোর্ট কানেক্টিং রোডে স্থাপন করা হয়েছে আরও একটি করোনা আইসোলেশন সেন্টার। এই আইসোলেশন সেন্টারে ৩৭ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। সুস্থ হয়ে ফিরেছেন ১০৫ জন রোগী। এখন পর্যন্ত চিকিৎসা নিয়েছে প্রায় ২৫০ জন।
এই আইসোলেশন সেন্টারের অন্যতম উদ্যোক্তা জিনাত সোহানা চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, পুরো চট্টগ্রাম জুড়ে যখন হাসপাতালগুলো রোগীদের ভর্তি না করিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে সেই সময় আইসোলেশন সেন্টার করি আমরা। আমাদের আইসোলেশন সেন্টারে অক্সিজেনসহ সব রকম সেবার সুযোগ রাখা হয়েছে।
করোনা রোগীদের চিকিৎসার সুবিধার্থে পতেঙ্গায় একটি স্কুলে করা হয়েছে পতেঙ্গা-ইপিজেড ফিল্ড হাসপাতাল। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. হোসেন আহম্মদের উদ্যোগে এ হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। ৫০ শয্যার হাসপাতালটিতে এখন রোগী ভর্তি রয়েছেন ৫ জন। এছাড়া সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২০ জন রোগী।
ডা. হোসেন আহম্মদ বাংলানিউজকে বলেন, একজন চিকিৎসক হিসেবে দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে এই ফিল্ড হাসপাতাল চালু করেছি। নগর থেকে বাইরে হওয়ায় রোগীর চাপ একটু কম। তবে করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য যা যা ব্যবস্থা রাখা দরকার তা আমরা ব্যবস্থা করেছি।
এই সব ফিল্ড হাসপাতাল এবং আইসোলেশন সেন্টার ছাড়াও সিএমপি এবং বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে গড়ে তোলা হয়েছে সিএমপি-বিদ্যানন্দ ফিল্ড হাসপাতাল। এছাড়া তিন ভাইয়ের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত আল মানাহিল ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছে আরও একটি
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৩ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২০
এমএম/এমআর/টিসি