রোববার (১২ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে হামলায় এক পক্ষের আহতরা হলেন- খোরশেদ বিন মেহেদী, ইমন সিকদার, অভিজিৎ দাশ, ফাহাদুল ইসলাম, হোজাইফা বিন কবির, কনক দেবনাথ ও সাজেদুল ইসলাম হৃদয়।
অপর পক্ষের আহতরা হলেন- সানি হাসনাত প্রান্তিক, ডা. ফয়সাল আহমেদ, ডা. মাসুম বিল্লাহ মাহিন, মাহতাব বিন হাসিম ও ডা. নুর মোহাম্মদ তানজিম।
ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মারামারি থামাতে গিয়ে আহত হয়েছেন চার পুলিশ সদস্য।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, শিক্ষা উপ-মন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল মহোদয় হাসপাতালে এসেছিলেন।
‘তিনি যাওয়ার পর চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রলীগ পরিচয় দেওয়া কয়েকজন আমাদের উপর হামলা চালান। এতে আমাদের ইন্টার্ন চিকিৎসকসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন। ’
অপর পক্ষের ছাত্রলীগ নেতা সাজেদুল ইসলাম হৃদয় বাংলানিউজকে বলেন, চমেকে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। যখন আমরা জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে যাই সেখানে চিকিৎসা নিতেও বাধা দেওয়া হয়। এতে আমাদের সাতজন আহত হয়েছেন।
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভুঁইয়া বাংলানিউজকে বলেন, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছে। মারামারি থামাতে গিয়ে আমাদের চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে প্রথম দফায় মারামারির পর চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নেওয়ার সময়ও দুই পক্ষ হাতাহাতিতে জড়ায় বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২০
এসকে/এমআর/টিসি