'এমভি সেঁজুতি'র স্থানীয় এজেন্ট ম্যাংগো শিপিং লাইনের ব্যবস্থাপক হাবিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালের (এনসিটি) ১ নম্বর জেটি থেকে শুক্রবার (১০ জুলাই) রফতানি পণ্য ভর্তি ও খালি কনটেইনার মিলে ১৫৫ টিইইউ'স (২০ ফুট হিসেবে) নিয়ে জাহাজটি বহির্নোঙরে পৌঁছে। সেখান থেকে শনিবার (১১ জুলাই) কলকাতার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
‘আশা করা হচ্ছে, সোমবার (১৩ জুলাই) জাহাজটি কলকাতা পৌঁছাবে। এরপর অন্যান্য কনটেইনারের পাশাপাশি ৪ কনটেইনার ট্রান্সশিপমেন্ট পণ্য নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে আসবে জাহাজটি।
৯৫ মিটার লম্বা এমভি সেঁজুতি জাহাজে ৩৭২ টিইইউস কনটেইনার পরিবহন করার সক্ষমতা রয়েছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার মো. ফখরুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, কলকাতা-চট্টগ্রাম-আখাউড়া ট্রান্সশিপমেন্টের ট্রায়াল রান শিগগির শুরু হবে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড যেহারে ট্রান্সশিপমেন্ট ফি নির্ধারণ করবে তা আদায়ের পর, কনটেইনারের সিল বা লক পরীক্ষা করে কাস্টমসের অধীনে এসকর্ট দিয়ে কনটেইনারগুলো আখাউড়া বিবিরবাজার পৌঁছে দেওয়া হবে।
সূত্র জানায়, ভারতের পণ্য পরিবহনে বাংলাদেশ বিভিন্ন ধরনের মাশুল আদায় করবে। এর মধ্যে রয়েছে প্রতি চালানের প্রসেসিং মাশুল, প্রতি টন পণ্যের ওপর ট্রান্সশিপমেন্ট মাশুল (২০ ফুটের কনটেইনারে প্রায় ১৪ টন পণ্য থাকে), নিরাপত্তা মাশুল, এসকর্ট মাশুল, প্রশাসনিক মাশুল, স্ক্যানিং ও ইলেকট্রিক সিলের মাশুল ইত্যাদি। ধারণা করা হচ্ছে কনটেইনার প্রতি অর্ধশতাধিক ডলার মাশুল পাবে বাংলাদেশ।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বাংলানিউজকে বলেন, ট্রান্সশিপমেন্টের প্রথম ট্রায়াল রানে ৪টি কনটেইনার আসবে চট্টগ্রাম বন্দরে। ১৪ বা ১৬ জুলাই সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় আমাদের চিঠি দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। নিয়ম অনুযায়ী বন্দর কর্তৃপক্ষ ট্রান্সশিপমেন্টের কনটেইনার প্রতি ট্যারিফ আদায় করবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪০ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২০
এআর/এমআর/টিসি