ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নগরে মোটরসাইকেল চুরি, রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় গ্রামে বিক্রি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০৭ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০২০
নগরে মোটরসাইকেল চুরি, রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় গ্রামে বিক্রি গ্রেফতার সাতজন

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম মহানগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে চুরি করেন মোটর সাইকেল। চুরির পর এসব মোটর সাইকেল নিয়ে যাওয়া হয় গ্রাম এলাকায়। এসব মোটর সাইকেলের জাল কাগজপত্র তৈরি করা হয়। পরে ভুয়া নাম্বার প্লেট বসিয়ে বিক্রি করা হয়।

বিক্রির সময় বলা হয় এসব মোটর সাইকেল পুলিশ আটক করবে না। আটক করলেও স্থানীয় ‘বড় ভাইয়েরা’ ছাড়িয়ে নেবেন।

কিছু রাজনৈতিক নেতার ছত্রছায়ায় মূলত তারা এমন অপকর্ম করে আসছে।

শুক্রবার থেকে শনিবার (১১ জুলাই) পর্যন্ত নগরের বিভিন্ন এলাকায় ও মিরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ এলাকা থেকে মোটরসাইকেল চোর চক্রের সাত সদস্যকে গ্রেফতারের পর এসব তথ্য জানতে পেরেছে পুলিশ।

গ্রেফতার সাতজন হলো- মেহেদি হাসান হৃদয় (২২), সমীর কান্তি বণিক (২৮), মিজানুর রহমান সম্রাট (২৫), বেলায়েত হোসেন বাদশা (২২), অনিক দেবনাথ (২১), রেজাউল করিম বাচ্চু (৪৫) এবং মো. আসাদুজ্জামান (৩০)। তাদের কাছ থেকে চারটি চোরাই মোটর সাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালী জোন) নোবেল চাকমার নেতৃত্বে পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামরুজ্জামান, উপ-পরিদর্শক (এসআই) সজল দাশসহ একটি টিম তাদের গ্রেফতার করে।

কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন জানান, শুক্রবার সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জুবলী রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে মেহেদি হাসান হৃদয় ও সমীর কান্তি বণিককে আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি চাবি উদ্ধার করা হয়।

কোতোয়ালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামরুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, নগরের বিভিন্ন এলাকায় মোটর সাইকেল চুরি করে এ চক্রের সদস্যরা। কোতোয়ালী থানার বিভিন্ন এলাকা থেকে মোটরসাইকেল চুরির সময় ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় ধরা পড়া কিছু ফুটেজ আমরা সংগ্রহ করেছি। ফুটেজে দেখা গেছে- লক করা একটি মোটর সাইকেলের ঘাড় ভেঙে মাস্টার চাবি দিয়ে চালু করে কয়েক মিনিটের মধ্যে পালিয়ে যায়।

গ্রেফতার বেলায়েত হোসেন বাদশা বিরুদ্ধে একটি, মিজানুর রহমান সম্রাটের বিরুদ্ধে চারটি এবং অনিক দেবনাথের বিরুদ্ধে একটি মামলা রয়েছে বলে জানান মো. কামরুজ্জামান।

কোতোয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সজল দাশ বাংলানিউজকে বলেন, এ চক্রের সদস্যরা চট্টগ্রাম মহানগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে চুরি করেন মোটর সাইকেল। চুরির পর এসব মোটর সাইকেল নিয়ে যাওয়া হয় গ্রাম এলাকায়। এসব মোটর সাইকেলের জাল কাগজপত্র তৈরি করা হয়। পরে ভুয়া নাম্বার প্লেট বসিয়ে বিক্রি করা হয়। বিক্রির সময় বলা হয় এসব মোটর সাইকেল পুলিশ আটক করবে না। আটক করলেও স্থানীয় ‘বড় ভাইয়েরা’ ছাড়িয়ে নেবেন। কিছু রাজনৈতিক নেতার ছত্রছায়ায় মূলত তারা এমন অপকর্ম করে আসছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৯ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০২০
এসকে/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।