ভাইরাস শনাক্তে নমুনা পরীক্ষার ফি নির্ধারণ, ফল পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা, করোনা নিয়ে মানুষের আতঙ্ক কমে যাওয়া এবং দ্বিতীয়বার নমুনা পরীক্ষার সুযোগ বন্ধ হওয়ায় চট্টগ্রামে নমুনা সংগ্রহে ‘ভাটা’ পড়েছে।
সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখে গেছে, ১০ জুলাই চট্টগ্রামে নমুনা পরীক্ষা করা হয় ১ হাজার ৯৯টি।
৯ জুলাই নমুনা পরীক্ষা করা হয় ৭৮১টি।
৭ জুলাই নমুনা পরীক্ষা করা হয় ১ হাজার ৪৭১টি। এরমধ্যে বিআইটিআইডি ল্যাবে ২৭৭টি এবং চমেকে ল্যাবে ৫৩৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
ল্যাব সংশ্লিষ্টরা বলছেন- বিআইটিআইডি এবং চমেক ল্যাবে দৈনিক ৫০০ নমুনা পরীক্ষার সুযোগ রয়েছে। তবে এই ক’দিনে সেখানে গড়ে ২৫০টি করে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নমুনা সংগ্রহে না থাকায় সক্ষমতা অনুযায়ী নমুনা পরীক্ষা করা যায়নি।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবের প্রধান অধ্যাপক ডা. শাকিল আহমদ বাংলানিউজকে বলেন, আগের তুলনায় নমুনা কম আসছে ল্যাবে। আগে যেখানে ৫৫০-৬০০ নমুনা পরীক্ষার জন্য ল্যাবে আসতো সেখানে এখন গড়ে ৩০০ নমুনা আসছে।
হঠাৎ করে নমুনা কম সংগ্রহ হওয়ার পেছনে কারণ কি থাকতে পারে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকার টেস্টর ওপর ফি নির্ধারণ করার ফলে যাদের লক্ষণ নেই তারা পরীক্ষা করানো কমিয়ে দিয়েছে। এছাড়া যারা গরীব, তারা অল্প স্বর্দি কাশির জন্য টেস্ট করাতে আগ্রহ হারাচ্ছে।
‘প্রথম দিকে নগরের বিভিন্ন স্থানে বুথ বসানোর কারণে অনেক মানুষ উপসর্গ না থাকার পরও ফ্রিতে টেস্ট করিয়েছেন। এখন তা বন্ধ হয়েছে। আবার প্রথম দিকে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছিল। যার কারণে করোনা টেস্টের প্রবণতাও বৃদ্ধি পেয়েছিল। কিন্তু এখন মানুষ অভ্যস্থ হয়ে গেছে এবং আতঙ্কটাও কমেছে।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবের ইনচার্জ ডা. এহসানুল হক কাজল বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের এখানে আগে যে পরিমাণ নমুনা পরীক্ষার জন্য আসতো তা এখন কমে এসেছে। আগে প্রতিদিন ৭০০-৮০০ নমুনা আসলেও এখন আসছে ২০০-৩০০।
সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বাংলানিউজকে বলেন, নমুনা কমে যাওয়ার পেছনে সরকারিভাবে ফি নির্ধারণ একটা কারণ হতে পারে। এতে করে উপসর্গহীন ব্যক্তিরা নমুনা দিতে অনুৎসাহিত হচ্ছেন। তাছাড়া দ্বিতীয়বার টেস্টের সুযোগ না থাকায় নমুনা আরও কমে এসেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৩ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০২০
এমএম/এমআর/টিসি