ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চলন্ত ট্রেনে ‘কোয়ারেন্টাইন’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০০ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০২০
চলন্ত ট্রেনে ‘কোয়ারেন্টাইন’ চলন্ত ট্রেনে ‘কোয়ারেন্টাইন’

চট্টগ্রাম: ১৪ দিন নয়, ৪-৮ ঘণ্টা কোয়ারেন্টাইন। করোনা উপসর্গ থাকা ব্যক্তিদের ট্রেনেই কোয়ারেন্টাইনে রাখা হচ্ছে। চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনে আলাদা কক্ষে এ ব্যবস্থা করেছে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল।

একটু ব্যাখ্যা দেওয়া যাক, চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে জ্বর মাপার জন্য ডিজিটাল থার্মাল স্ক্যানার বসানো হয়েছে। যাত্রীর যদি জ্বর বেশি থাকে তাহলে তার ট্রেনে উঠা মানা।

কিন্তু অনেকে জ্বর বা করোনা উপসর্গ থাকার পরও ফাঁকি দিয়ে ট্রেনে উঠছেন। মূলত তাদের জন্য এই আলাদা কোয়ারেন্টাইন।

 
চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার রতন কুমার চৌধুরী বাংলানিউজকে জানান, প্রতিটি ট্রেনে ১৪টি বগি থাকে। এরমধ্যে একটি বগি থেকে খাবার পরিবেশন করা হয়। করোনা ভাইরাসের কারণে বর্তমানে ট্রেনে খাবার পরিবেশন নিষেধ। তাই ওই খাবার বগিটি ব্যবহৃত হচ্ছে করোনা সাসপেক্টেড ব্যক্তির জন্য।

চট্টগ্রাম থেকে প্রতিদিন সুবর্ণ, মেঘনা ও উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেন ছেড়ে যাচ্ছে। এরমধ্যে সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেন সকাল ৭টায়, মেঘনা এক্সপ্রেস বিকেল সোয়া ৫টায় ও উদয়ন এক্সপ্রেস রাত পৌনে ১০টায় চট্টগ্রাম ছেড়ে যাচ্ছে।

সুবর্ণ এক্সপ্রেস ঢাকায় পৌছে দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে, মেঘনা এক্সপ্রেস চাঁদপুর পৌছে রাত ৯টা ১৫ মিনিটে ও উদয়ন এক্সপ্রেস সিলেট পৌঁছে সকাল ৬টায়।

রতুন কুমার চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, থার্মাল স্ক্যানারে মাপার পর জ্বর বেশি থাকলে তাদের আমরা ট্রেনে উঠতে দিচ্ছি না। কিন্তু এরপরও যারা করোনা উপসর্গ লুকিয়ে ট্রেনে উঠছেন, তারা যখন ধরা পড়েন তাদের এই আলাদা বগিতে রাখা হচ্ছে।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সরদার সাহাদাত আলী বাংলানিউজকে বলেন, করোনার মধ্যে ট্রেন চালু হওয়ার পর থেকে আমরা এ ব্যবস্থা করেছি। ট্রেনের খাবার বগিতে করোনা সাসপেক্টেড ব্যক্তিকে রাখা হচ্ছে। যাতে অন্য যাত্রীরা নিরাপদ থাকেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৬ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০২০
জেইউ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।