ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

অনলাইন ক্লাশের জন্য ভিন্নধর্মী ওয়েবসাইট তৈরি তিন তরুণের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৬ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০২০
অনলাইন ক্লাশের জন্য ভিন্নধর্মী ওয়েবসাইট তৈরি তিন তরুণের অনলাইন ক্লাশের জন্য ভিন্নধর্মী ওয়েবসাইট তৈরি তিন তরুণের।

চট্টগ্রাম: একজন শিক্ষককে দেওয়া হবে পৃথক একটি প্যানেল। শিক্ষক তার তৈরিকৃত টিউটোরিয়াল (ভিডিও, ওয়ার্ড ফাইল, পিডিএফ, পাওয়ার পয়েন্ট ফাইল) প্রতিষ্ঠানের সাইটে আপলোড দেবেন।

শিক্ষার্থীরা বাসায় বসে যে কোনো সময় খুব সহজেই দেখতে এবং পড়তে পারবে এসব টিউটোরিয়াল। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ যে কোনো নোটিশ মোবাইল বার্তার মাধ্যমে সব শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর নিকট খুব সহজে পাঠাতে পারবেন ওয়েবসাইট ব্যবহার করেই।

   

এভাবে বর্তমান করোনা মহামারীতে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা অনলাইন ক্লাশের জন্য তৈরি করা হয়েছে একটি ভিন্নধর্মী ও ব্যতিক্রমী ওয়েবসাইট ভিত্তিক ক্লাস রুম।

চসিক কম্পিউটার ইনস্টিটিউটের পরিচালক আনিছ আহমদের দিকনির্দেশনায় ওয়েবসাইটটি তৈরি করেছেন প্রতিষ্ঠানটির খণ্ডকালীন প্রশিক্ষক নূর উদ্দিন, আশরাফ রেজা ও হায়দার আলী।

এর আগে এ তিন তরুণ চসিক পরিচালিত ৭১টি স্কুল-কলেজের ফলাফল ও ভর্তি কার্যক্রম অনলাইনে প্রকাশের সফটওয়্যার উদ্ভাবন করেন। করোনা বিপর্যয়ের এ সময়ে আগ্রহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে বিনামূল্যে দেয়া হচ্ছে ওয়েবসাইটটি।

যে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আবেদনের মাধ্যমে স্বল্প সময়ে নিজস্ব ওয়েবসাইট ও ক্লাশ কার্যক্রম পরিচালনায় অনলাইন প্যানেল পেতে পারেন। অনলাইন ক্লাশ রুমের সুযোগ পেতে eduworlderp.com ঠিকানায় গিয়ে আবেদন করতে হবে।

চসিক কম্পিউটার ইনস্টিটিউটের পরিচালক আনিছ আহমদ বাংলানিউজকে বলেন, ‘করোনা মহামারীকে কেন্দ্র করে আগামীর বিশ্বে অনলাইন নির্ভরতা বেড়ে যাচ্ছে। দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য অনলাইন প্লাটফরম তৈরি এখন সময়ের দাবি।  

তিনি বলেন, বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে করোনার দূর্যোগকালীন সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য পৃথক পৃথক অনলাইন ক্লাশ রুমের মতো ভিন্নধর্মী চিন্তাকে সামনে নিয়ে তিন তরুণ তৈরি করেছেন ওয়েবসাইটটি।

‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আবেদনের মাধ্যমে পৃথক ওয়েবসাইট দেয়া, প্রতিষ্ঠানের জন্য নোটিশ সেকশন, প্রাতিষ্ঠানিক তথ্য সংযোগসহ ব্যতিক্রমধর্মী কিছু বৈশিষ্ট্য আছে এটির। ’   

উদ্ভাবক আশরাফ রেজা বাংলানিউজকে বলেন, ‘বৈশ্বিক মহামারী করোনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো প্রায় চারমাস ধরে বন্ধ। ফলে মারাত্মকভাবে ব্যহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ফেসবুকের মাধ্যমে ক্লাশ চালু করলেও তাতে প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব স্বকীয়তা ক্ষুন্ন হওয়ার শঙ্কা আছে।

তিনি বলেন, ফেসবুকে কয়েকদিন আগের টিউটোরিয়ালগুলো খুঁজে নিতে শিক্ষার্থীদের বেগ পেতে হচ্ছে। এর সঙ্গে আছে ইন্টারনেটের গতির তারতম্য। ফলে সিংহভাগ শিক্ষার্থী বঞ্চিত হচ্ছে অনলাইন ভিডিও ক্লাশ থেকে।

‘এসব বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে তৈরি করা হয়েছে অনলাইন ক্লাশ রুমের মতো ভিন্ন উদ্যোগ। ইতোমধ্যে কিছু প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষামূলক চালিয়ে সফল হয়েছি। ’

নূর উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, ‘করোনাকালীন দেশের শিক্ষা কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে ব্যতিক্রমী একটি ওয়েবসাইট তৈরি করেছি আমরা। প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনেই প্রতিজন শিক্ষার্থীর জন্য পৃথক পৃথক প্যানেল, অনলাইনে ফি গ্রহণ, স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরীক্ষার ফলাফল প্রদানসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনলাইনে পরিচালনা করার পুরো পদ্ধতি এখানে প্রদান করা হবে।

‘দেশের সকল স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, ইনস্টিটিউটের উপযোগী করে তৈরি করা হয়েছে ওয়েবসাইট ভিত্তিক এই ক্লাসরুম। ’ যোগ করেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৪ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০২০
এমআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।