কোনো কারণে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে হলে এবং ক্যাম্পাস থেকে বের হতে হলে প্রধান ফটকে নিরাপত্তা বাহিনীর জবাবদিহিতার মধ্যে পড়তে হচ্ছে যাতায়াতকারীদের। এছাড়া ক্যাম্পাসে অপ্রয়োজনে ঘোরাঘুরি ঠেকাতে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।
অন্যদিকে করোনা আক্রান্ত পরিবারকে সাহায্য সহযোগিতা করতে কাজ করছে স্বেচ্ছাসেবক টিম। করোনা আক্রান্ত পরিবারের কোনো জিনিসের প্রয়োজন হলে তা নিয়ে পৌঁছে দিচ্ছেন তারা।
স্বোচ্ছাসেবক টিমের সদস্য সাইফুল ইসলাম সুমন বাংলানিউজকে বলেন, অন্যসব লকডাউন এলাকার মতো এখানেও অদ্ভুত আবদার করছেন অনেকে। তারপরও আমরা চেষ্টা করছি সবার চাহিদা মতো জিনিস পৌঁছে দিতে।
বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যাল সেন্টারের চিফ মেডিক্যাল অফিসার ডা. আবু তৈয়ব বাংলানিউজকে বলেন, লকডাউন কতটুকু কার্যকর হয়েছে তা এতো তাড়াতাড়ি বলা যাবে না। তবে গত কয়েকদিনে সংক্রমণের পরিমাণ কমেছে।
তিনি বলেন, আগে প্রতিদিন ৫/৬ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হলেও এখন একজনের বেশি রোগী মিলছে না। তাছাড়া সুস্থ হওয়ার পরিমাণও ঊর্ধ্বমুখী। আশা করছি- এ পরিস্থিতির দ্রুত আরও উন্নতি ঘটবে।
প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভুইঁয়া বাংলানিউজকে বলেন, লকডাউন দেওয়ার পর প্রথমদিন বিভিন্ন কারণে একটু শিথিলতা রাখা হয়। কিন্তু বর্তমানে কঠোর অবস্থানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
‘ক্যাম্পাসের ভিতরে মুদি ও ওষুধের দোকান ছাড়া অন্যসব দোকান বন্ধ রাখা হয়েছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ এবং বের হতে প্রধান ফটকে জবাবদিহিতার আওতায় আসতে হচ্ছে। ’
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় লকডাউন করার পর আমাদের সাহায্য সহযোগিতা করছে একটি স্বোচ্ছাসেবক টিম। তারা করোনা আক্রান্ত পরিবারগুলোর কোনো কিছু প্রয়োজন হলে তার ব্যবস্থা করে দিচ্ছে।
এর আগে ক্যাম্পাসে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় কর্মচারীদের বসবাসের একটি কলোনী লকডাউন করা হয়। পরে গত ৪ জুলাই থেকে ১৪ দিনের লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৮ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০২০
এমএম/এমআর/টিসি