মঙ্গলবার (৭ জুলাই) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সহায়তায় এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন অধিদফতরের বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্লাহ, সহকারী পরিচালক নাসরিন আক্তার, সহকারী পরিচালক (মেট্রো) পাপীয়া সুলতানা লীজা ও জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান।
মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, ইপিজেড থানার সিজলের পরিবেশক জসিম ফুডসকে মেয়াদোত্তীর্ণ শিশু খাদ্য (চকলেট) ও বার্থডে কেক রাখায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
পতেঙ্গা থানার কাটগড় বাজারের নাহার বেকারিকে নকল চেরি ব্যবহার ও ছাপানো নিউজপ্রিন্ট ব্যবহার করে বেকারি পণ্য সংরক্ষণ করায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই বাজারের ফরায়েজী স্টোরকে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ এলাকার মেসার্স নিরাময় ফার্মেসিকে অননুমোদিত ওষুধ সংরক্ষণ করায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে বর্ণিত ওষুধ ধ্বংস করা হয়। একই এলাকার অপটিক্যাল পয়েন্টকে মেয়াদবিহীন স্যানিটাইজার রাখায় ৩ হাজার টাকা জরিমানাসহ সতর্ক করা হয়।
কাজীর দেউড়ি বাজারের রফিকের মাংসের দোকানকে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আগ্রাবাদ এলাকায় বেশি দামে স্যাভলন বিক্রির প্রস্তাব করায় ফুটপাতের বিক্রেতা আইয়ুবকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই এলাকার সাকিব সু স্টোরকে ফুটপাতে রেখে বেশি দামে স্যানিটাইজর বিক্রির প্রস্তাব করায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বাজার তদারকি অভিযানকালে ভোক্তাদের নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে পণ্য কিনতে এবং মাস্ক-গ্লভস পরতে অনুরোধ করা হয়।
এ ছাড়া কোনো বিক্রেতা যদি বেশি দামে পণ্য বা ওষুধ বিক্রি করে বা বিক্রির প্রস্তাব করে তাহলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের হটলাইন নম্বরে (১৬১২১) অভিযোগ জানাতে বা তথ্য দিতে অনুরোধ জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫২ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০২০
এআর/টিসি