সোমবার (৬ জুলাই) জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের কর্মকর্তারা বাজার তদারকিকালে এমন চিত্র দেখতে পান। বাকলিয়া থানার কেবি আমান আলী সড়কের রিফাত ফার্মেসিকে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রাখায় ১০ হাজার টাকা জরিমানাসহ ওষুধগুলো ধ্বংস করা হয়।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সহযোগিতায় নগরের চান্দগাঁও, বাকলিয়া, বন্দর ও কোতোয়ালী থানা এলাকায় তদারকিমূলক অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় ৮টি প্রতিষ্ঠানকে ৩৬ হাজার টাকা জরিমানাসহ সতর্ক করা হয়েছে।
অধিদফতরের বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্লাহ, সহকারী পরিচালক নাসরিন আক্তার, সহকারী পরিচালক (মেট্রো) পাপীয়া সুলতানা লীজা ও জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান অভিযানে নেতৃত্ব দেন।
মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, বহদ্দার হাট এলাকার মডার্ন হাসান বেকারিকে অননুমোদিত এনার্জি ড্রিংক, মেয়াদোত্তীর্ণ পানীয় সংরক্ষণ ও অস্বাস্থ্যকর উপায়ে বিস্কুট মোড়কজাত করায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই এলাকার ফুলকলি ফুড প্রোডাক্টসকে পণ্যের মোড়কে উৎপাদন, মেয়াদ ও খুচরা মূল্য না থাকায় ৬ হাজার টাকা জরিমানাসহ সতর্ক করা হয়।
মেসার্স মামুন স্টোরকে অননুমোদিত রং বিক্রি করায় ৫ হাজার টাকা জরিমানাসহ বর্ণিত রং ধ্বংস করা হয়। বন্দর থানার ফার্মভিলের পরিবেশক কেকেএস ফুডসকে পণ্যের মোড়কে যথাযথ তথ্য না দেওয়ায় ১ হাজার টাকা জরিমানাসহ সতর্ক করা হয়।
কোতোয়ালী থানার জান্নাত সুপারমার্টকে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় ১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। জামাল খান রোডের রাতুল স্টোরকে মেয়াদোত্তীর্ণ কোমল পানীয় রাখায় ১ হাজার টাকা, এসএস খালেদ সড়কের ওয়ার্ল্ড সেন্টারকে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় ২ হাজার টাকা জরিমানাসহ সতর্ক করা হয়।
জনস্বার্থে বাজার তদারকি অভিযান অব্যাহত থাকবে উল্লেখ করে মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান কোনো বিক্রেতা যদি বেশি দামে পণ্য বা ওষুধ বিক্রি করে বা বিক্রির প্রস্তাব করেন তবে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের হটলাইন নম্বরে (১৬১২১) অভিযোগ জানাতে বা তথ্য দিতে অনুরোধ জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০২০
এআর/টিসি