ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

করোনাকালেও নজির তৈরি করেছে সানশাইন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৭ ঘণ্টা, জুলাই ৬, ২০২০
করোনাকালেও নজির তৈরি করেছে সানশাইন সানশাইনের অনলাইনভিত্তিক শ্রেণি কার্যক্রম

চট্টগ্রাম: ইংরেজি মাধ্যম শিক্ষা ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনা সানশাইন গ্রামার স্কুল অ্যান্ড কলেজ করোনাভাইরাসের এই বৈশ্বিক মহামারির সময়েও নিত্যনতুন পদ্ধতি আর নানাবিধ সময়োপযোগী আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় তাদের সৃষ্টিশীল শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

করোনার এই দুঃসময়ে শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ লাঘবে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমের শুরুতেই সানশাইন ছোট ক্লাসের ছাত্র–ছাত্রীদের জন্য আয়োজন করে চকলেট মেকিং ক্লাস, আর্ট কম্পিটিশন, ফটোগ্রাফি কম্পিটিশন, বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় আবৃত্তি প্রতিযোগিতা প্রভৃতি। এতে একদিকে যেমন কোভিড–১৯ এর কারণে মানসিক চাপে থাকা ছাত্র–ছাত্রীরা একটি ভিন্ন ধরনের অভিজ্ঞতা অর্জন করে, তেমনই অনলাইনভিত্তিক শ্রেণি কার্যক্রমে তাদের ধীরে ধীরে মানিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়াটাও সহজ হয়ে ওঠে।



পর্যায়ক্রমে এই অনলাইন কার্যক্রম ছড়িয়ে দেওয়া হয় সানশাইন এডুকেশন গ্রুপের চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। এই কঠিন সময়েও নিয়মিতভাবে চালানো হয় শিক্ষা কার্যক্রম ও পরীক্ষা।
এমনকি দেশে প্রথমবারের মতো ও-লেভেল এর ‘মক টেস্ট’ নেওয়া হয় অনলাইনে।

ওয়াইএসআই বাংলা লিমিটেডের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় সানশাইন ডেভেলপ করে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা ও একইসঙ্গে পরীক্ষা আয়োজনের প্লাটফর্ম বিপ্র (www.bepro.com.bd)। দেশব্যাপী কোভিড-১৯ এর এই দুর্যোগকালে অনেক শিক্ষার্থী অবস্থান করছে দেশের নানা প্রান্তে, এমনকি বেশ কিছু শিক্ষার্থী এই মুহূর্তে অবস্থান করছে সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভারত, শ্রীলঙ্কা এবং অন্যান্য দেশে। সব কিছু বিবেচনায় সানশাইন বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা তাদের ছাত্র–ছাত্রীদের সুবিধার্থে বিভিন্ন টাইমজোনের জন্য ভিন্ন ভিন্ন সময়ে পরীক্ষার আয়োজন করে।

সানশাইনের ডেভেলপ করা এই বিশেষায়িত অনলাইন প্লাটফর্মের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এতে বিভিন্ন বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা নেওয়া যায়। যেমন- কোনো কোনো বিষয়ে আছে বহুনির্বাচনী প্রশ্নোত্তর (এমসিকিউ), আবার কোনো বিষয়ে বিস্তৃত লিখিত প্রশ্নোত্তর। ইলেকট্রনিক মাধ্যমে বহুনির্বাচনী (এমসিকিউ) এবং লিখিত পরীক্ষা একইসঙ্গে দেশে প্রথমবারের মতো আয়োজিত হলো সানশাইনের প্লাটফর্মে। কোনো বিষয়ে প্রয়োজন হয় চিত্রের, আবার কোনো বিষয়ে গ্রাফের। চমৎকার ব্যাপার হলো, সানশাইনের এই প্লাটফর্মে কোনো রকমের সমস্যা ব্যতীত সব ধরনের পরীক্ষাই আয়োজন করা যায়।

আবার পরীক্ষা চলাকালে শিক্ষকরাও অনলাইনে পরীক্ষার্থীদের ওপর নজরদারি করতে পারেন, ঠিক যেভাবে তারা কোভিড-১৯ এর আগে ফিজিক্যালি করতেন ক্লাসে বসে। পৃথিবীর যে প্রান্ত থেকেই ছাত্র–ছাত্রীরা পরীক্ষায় অংশ নেবে না কেন, সানশাইনের অনলাইন পরিদর্শনের কারণে পরীক্ষা হয় পরীক্ষার মতোই।

সানশাইন চালু করেছে অনলাইন এডুকেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। এই সিস্টেমের আওতায় প্রতিটি ছাত্র–ছাত্রীর লেখাপড়ার তথ্য রাখা সম্ভব হয় অনলাইনে। ছাত্র–ছাত্রীদের উপস্থিতি, তাদের শ্রেণি কার্যক্রম, হোমওয়ার্ক থেকে পরীক্ষার ফলাফল- সবকিছুই এখন অনলাইনভিত্তিক। শিগগিরই শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হলেও এই সিস্টেম চালু থাকবে। ফলে ছাত্র–ছাত্রীরা তাদের শিক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকতে পারবে সব সময়। শিক্ষার্থীরা তাদের নিজস্ব সানশাইন আইডি নাম্বারের মাধ্যমে প্রতিদিনের পড়া নিজেদের স্টুডেন্ট অ্যাকাউন্টে পাবে, সেখান থেকেই তারা সেটা পড়ে নিতে পারবে এবং যখন প্রয়োজন তখনই সেটা কাজে লাগাতে পারবে। অভিভাবকরাও মাত্র এক ক্লিকের মাধ্যমেই জানতে পারবেন তাদের ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনার সর্বশেষ অবস্থা।

৯ আগস্ট থেকে সানশাইনের নতুন সেশন শুরু হতে যাচ্ছে এবং সার্বক্ষণিকভাবেই চালু থাকবে এই অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম। এজন্য সানশাইনের নিজস্ব সফটওয়্যার ছাড়াও ব্যবহার করা হবে গুগল ক্লাসরুম। গুগলের সঙ্গে এই সংক্রান্ত চুক্তিও ইতোমধ্যে সম্পাদিত হয়েছে।

সানশাইন এডুকেশন গ্রুপের অন্তর্গত প্রতিষ্ঠানগুলো বরাবরই নতুন নতুন উদ্যোগের জন্য বিখ্যাত। সানশাইন গ্রামার স্কুল অ্যান্ড কলেজ চট্টগ্রামের প্রথম ব্রিটিশ কারিকুলামে শিক্ষা দেওয়া প্রতিষ্ঠান। ও-লেভেলের পর এ-লেভেল ক্লাসও চট্টগ্রামে প্রথম চালু করে সানশাইন গ্রামার স্কুল অ্যান্ড কলেজ। সানশাইন গ্রামার স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সাফিয়া গাজী রহমানের ব্যক্তিগত উদ্যোগেই চট্টগ্রামে ও এবং এ-লেভেল পরীক্ষার সেন্টার আনা হয়।

চট্টগ্রাম সানশাইন স্কুলে ইংরেজি মাধ্যমে জাতীয় শিক্ষাক্রম পড়ানো হয়। সেখানেও এই মুহূর্তে অনলাইনে পাঠদান চলছে পুরোদমে। অপরদিকে চট্টগ্রাম সানশাইন কলেজ, চট্টগ্রামের প্রথম কলেজ যেখানে ইংরেজি মাধ্যমে এইচএসসি পড়ানো হয়।

সব মিলিয়ে সময়ের প্রয়োজনে যখনই নতুন কোনো উদ্যোগ নেওয়ার প্রয়োজন হয়েছে, সানশাইন এগিয়েছে সবার আগে। এরই ধারাবাহিকতায় ডিজিটাল বিবর্তনেও সানশাইন সবার আগে। করোনা-আতঙ্কের এ সময়ে সানশাইন শুধু ছাত্র–ছাত্রীদের লেখাপড়ার ক্ষেত্রেই এগিয়ে নিয়ে যায়নি, বরং নানা কার্যক্রমের মাধ্যমে ছাত্র–ছাত্রীদের মানসিক স্বাস্থ্যেরও উৎকর্ষ সাধনের চেষ্টা করে চলেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪২ ঘণ্টা, জুলাই ০৫, ২০২০
জেইউ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।