বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রবেশমুখ জিরো পয়েন্ট ঘুরে দেখা যায়, জরুরি সেবার পরিবহনসমূহ ঢুকতে বেগ পেলেও ছাত্রনেতা ও শিক্ষক পরিচয়ে অবাধে যাতায়াত করছেন অনেকে। এছাড়া গেইটের পাশে সরু রাস্তা দিয়ে আসা যাওয়ায় ক্ষেত্রে কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই।
তবে বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শনিবার সন্ধ্যা থেকে এ কার্যক্রম আরও কঠোরভাবে পালন করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান বাংলানিউজকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ১৫জন করোনা আক্রান্ত। সংক্রমণ রোধে শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেয়। হঠাৎ করেই এমন নির্দেশনা মানতে সবার কষ্ট হচ্ছে। আমরা মূলত সচেতনতার ওপর জোর দিচ্ছি। আজ সন্ধ্যা থেকে এটি কঠোরভাবে মানা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর রবিউল হাসান ভুঁইয়া বাংলানিউজকে বলেন, আজ (শনিবার) থেকেই লকডাউন কার্যকর হচ্ছে। ক্যাম্পাসে বহিরাগত ও অবস্থানরতদের গতিবিধি নজরদারিতে রাখা হয়েছে। আশা করবো, নিজেদের সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে সর্বাত্মক লকডাউন মেনে চলবেন সকলে।
এর আগে শুক্রবার (৩ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে লকডাউনের বিষয়টি জানানো হয়, যা চলবে আগামী ১৭ জুলাই পর্যন্ত। এ সময় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরী প্রশাসনিক কার্যক্রম চট্টগ্রাম শহরস্থ চারুকলা ইনস্টিটিউট অফিস হতে পরিচালিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০২০
এমএম/এসি/টিসি