সম্প্রতি ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. নুরুল মোস্তফার সভাপতিত্বে অনলাইনে অনুষ্ঠিত সভায় এমন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন ইউনিভার্সিটির উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠাতা প্রফেসর সরওয়ার জাহান, উপ-উপাচার্য প্রফেসর ইঞ্জিনিয়ার এম আলী আশরাফ, রেজিস্ট্রার ড. মোজাম্মেল হক, বিভিন্ন বিভাগের প্রধানরা।
করোনাকালীন সময়ে শিক্ষার্থীরা যেসব সুবিধা পাবেন- নতুন শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে ভর্তি ফি ৫০% ছাড়। যারা সাদার্নে স্নাতক শেষ করে স্নাতকোত্তরে ভর্তি হতে ইচ্ছুক তাদের জন্য ভর্তি ফি ১০০% মওকুফ।
উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. নুরুল মোস্তফা ইউনিভার্সিটির স্বাভাবিক কার্যক্রম চালিয়ে নিতে শিক্ষার্থীদের একান্ত সহযোগিতা কামনা করে বলেন, সাদার্ন সব সময় শিক্ষার্থীবান্ধব এবং শিক্ষার্থীরাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। করোনা ভাইরাসের কারণে গত ১৮ মার্চ থেকে ক্যম্পাস বন্ধ রয়েছে এবং কয়েক ধাপে তা আরও বাড়ানো হয়েছে। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইউনিভার্সিটি বন্ধ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি বলেন, ক্যাম্পাসভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও অনলাইনে ক্লাস চলছে। পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ সকল কার্যক্রমও অব্যাহত রয়েছে । ক্যাম্পাসভিত্তিক শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধের কারণে আর্থিক ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সুবিধামত সহজ কিস্তির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জন্য টিউশন ফি প্রদানের ব্যবস্থা রেখেছে ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ। যাতে ইউনিভার্সিটি চলমান থাকে এবং শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন, যাবতীয় কর, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও ইন্টারনেট বিলসহ অন্যান্য বিল পরিশোধ করতে পারে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গেলে শিক্ষার্থীরা যথানিয়মে ফি পরিশোধ করতে পারবে, এতে কোন ধরনের অতিরিক্ত ফি দিতে হবে না।
তিনি আরও বলেন, করোনার কারণে সবাই কমবেশি সমস্যায় পড়েছে। একদিকে পড়াশোনার ক্ষতি, অন্যদিকে আর্থিক সংকট। বিশেষ করে অনেক অভিভাবক আর্থিক সমস্যায় আছেন। তুলনামূলকভাবে এই ইউনিভার্সিটির ফি কম হওয়ার পরও বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সাদার্ন ইউনির্ভাসিটির পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের ফি পরিশোধে সহজীকরণ এবং আর্থিক সহযোগিতা প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যাতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত না হয়।
‘ইউনিভার্সিটির প্রধান আয়ের উৎস শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রাপ্ত টিউশন ফি। সরকার বা অন্য কোনও উৎস থেকে অনুদান আসে না। বর্তমান পরিস্থিতির কারণে সরকারি নির্দেশনা মেনে শ্রেণি শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকায় কোনও টিউশন ফি আদায় হচ্ছে না। ফলে আর্থিক সংকটে পড়েছে প্রতিষ্ঠান। ইউনিভার্সিটির অস্তিত্ব যেন হুমকির মুখে না পড়ে তার জন্য সবার ইতিবাচক মনোভাব প্রত্যাশা করছে কর্তৃপক্ষ’ বলেন উপাচার্য।
বাংলাদেশ সময়: ১২২২ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০২০
এসি/টিসি