ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বেতন পরিশোধে কাবুলিওয়ালার মতো আচরণ করছে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২১৪ ঘণ্টা, জুলাই ১, ২০২০
বেতন পরিশোধে কাবুলিওয়ালার মতো আচরণ করছে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান খোরশেদ আলম সুজন

চট্টগ্রাম: নগরের বন্ধ বেসরকারি স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থীদের বেতন পরিশোধে কাবুলিওয়ালার মতো আচরণ করছে বলে অভিযোগ করেছেন জনদুর্ভোগ লাঘবে জনতার ঐক্য চাই শীর্ষক নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।

বুধবার (১লা জুলাই) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ অভিযোগ করেন তিনি।

সুজন বলেন, করোনা মহামারী দেশের আর্থিক পরিস্থিতির ওপর মারাত্নক প্রভাব ফেলেছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনাভাইরাস পরবর্তী সংকট সামাল দিতে অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে কাজ করছে। ইতিপূর্বে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে গত ১৮ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার।

তিনি বলেন, ছুটি বর্ধিতকরণের ফলে আগামী ৬ই আগস্ট পর্যন্ত এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। অত্যন্ত দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় এই যে শিক্ষা বাণিজ্যিকীকরণের আওতায় কিছু ধনাঢ্য ব্যক্তি এবং শিল্পগ্রুপ নগরীতে বিভিন্ন স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছে।

 'এসব স্কুল-কলেজে উচ্চবিত্ত ছাড়াও মধ্যবিত্ত এবং নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেণীর সন্তানরাও লেখাপড়া করে। সরকারি ঘোষণা মোতাবেক বন্ধের সময়ও নগরীর অনেক বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান টিউশন ফি আদায়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের নানাভাবে চাপ দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। '

তিনি বলেন, টিউশন ফি আদায়ে অভিভাবকদের কাছে বিকাশ, রকেট ও নগদের মতো মোবাইল ব্যাংকিং সেবার নম্বরও পাঠিয়ে দিচ্ছে কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান। আবার অনেক প্রতিষ্ঠান বেতন আদায়ে ফোন এবং মেসেজের মাধ্যমে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের চাপ দিচ্ছে যা চরম নিষ্ঠুরতার সামিল। কোন কোন প্রতিষ্ঠান টিউশন ফি প্রদান না করলে ভর্তি বাতিল কিংবা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না দেওয়ারও ঘোষণা দিচ্ছে। এমতাবস্থায় শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকরা আতংকিত হয়ে পড়েছে।

তিনি বলেন, জনগণের স্বাভাবিক আয় রোজগারের পথ অনেকটাই স্থিমিত হয়ে পড়েছে। তাছাড়া গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির বকেয়া বিলের চাপেও জনগন দিশেহারা।

'অন্ন, বস্ত্র, চিকিৎসা, বাসস্থানের মতোই শিক্ষা মানুষের মৌলিক অধিকার। একটি কল্যাণরাষ্ট্র মানুষের মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তা দেয়। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাই শিক্ষাকে অধিকতর গুরুত্ব দিয়ে এখাতে সর্বোচ্চ সংখ্যক বাজেট বরাদ্দ দিয়েছে। তারপরও সরকারী নির্দেশনা অমান্য করে প্রতি বছরের শুরুতেই বিভিন্ন বেসরকারী স্কুল-কলেজে ভর্তি, পুনঃভর্তির নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ আদায় করে। শিক্ষাকে বাণিজ্যিকীকরণ এবং নামে বেনামে বিভিন্ন উপলক্ষের নামে টাকা আদায় করার ফলে এসব প্রতিষ্ঠানে টাকার পাহাড় গড়ে উঠেছে। '

তিনি আরো বলেন, নাগরিক উদ্যোগ কোন অবস্থাতেই টিউশন ফির বিরুদ্ধে নয়। কিন্তু হঠাৎ করে মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত চার মাসের বকেয়া বেতন একসাথে পরিশোধ করা কোন অভিভাবকেরই পক্ষে সম্ভব নয়। প্রয়োজনে কিস্তির মাধ্যমে এসব টিউশন ফি আদায় করা যেতে পারে। তা না করে যদি টিউশন ফির জন্য অভিভাবকদের হুমকি প্রদান করা হয় তাহলে নাগরিক উদ্যোগ চুপ করে বসে থাকবে না বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারন করেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ২৩০০ ঘণ্টা, জুলাই ০১, ২০২০
জেইউ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।