বুধবার (১ জুলাই) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বন্দরের জেনারেল কার্গো বার্থের ৬ নম্বর জেটিতে বাঁধা জাহাজটিতে হঠাৎ করে আগুন লেগে যায়।
এরপর বন্দরের নিজস্ব অগ্নিনির্বাপণকারী ২টি গাড়ি জেটি থেকে এবং শক্তিশালী টাগবোট 'কাণ্ডারী ৮' ও 'কাণ্ডারী ১০' কর্ণফুলী নদী থেকে পানি ছোড়া শুরু করে।
এ সময় জাহাজের ক্যাপ্টেন কার্বন ডাই অক্সাইড (সিও২) দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন।
বন্দরের উপ পরিচালক (নিরাপত্তা) মেজর মো. রেজাউল হককে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কর্তৃপক্ষ।
বন্দরের একজন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে জানান, হঠাৎ করে স্টিল পণ্যবাহী জাহাজটির ৩ নম্বর কার্গো হোল্ডের সামনের দিকে আগুন লেগে যায়। জাহাজের নিজস্ব অগ্নিনির্বাপণ ইক্যুইপমেন্টে আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসায় বন্দরের নিজস্ব অগ্নিনির্বাপক গাড়ি (ফায়ার টেন্ডার) ও দুইটি টাগ পাঠানো হয়। ৬টা নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে এলে বন্দর কর্তৃপক্ষ জাহাজটির বহির্নোঙরে নেওয়ার জন্য নিজস্ব পাইলট পাঠায়।
জাহাজের ক্যাপ্টেনকে একজন সার্ভেয়ার দিয়ে আগুন পুরোপুরি নিভেছে নিশ্চিত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এটি নিশ্চিত হলেই জাহাজটি পুনরায় জেটিতে আনা হবে।
সূত্র জানায়, ১৪৭ দশমিক ২০ মিটার লম্বা, সাড়ে ৮ মিটার ড্রাফটের চার্টার্ড ভ্যাসেলটি সকালে বন্দর জেটিতে ভিড়েছিলো।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪২ ঘণ্টা, জুলাই ০১, ২০২০
এআর/টিসি