সদ্য বিদায়ী অর্থবছরে (২০১৯-২০) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) প্রতিষ্ঠানটিকে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দিয়েছিল ৫৮ হাজার ২৯৮ কোটি টাকা আদায়ের। কম আদায় হয়েছে ১৬ হাজার ৫৩১ কোটি টাকা, ২৮ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
কাস্টম হাউসের কমিশনার ফখরুল আলম তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বাংলানিউজকে বলেন, বৈশ্বিক মহামারী কোভিড-১৯ এর প্রভাবে বিশ্ব অর্থনীতিতে যে ধাক্কা লেগেছে তার প্রভাব পড়েছে কাস্টম হাউসের রাজস্ব আদায়েও। বিশ্ববাজারে স্বর্ণ ছাড়া জ্বালানি তেলসহ প্রায় সব পণ্যের দাম কমে গেছে এর ফলে আমরা যে পণ্যের মূল্যের ওপর শুল্ককর ধার্য করি তা কমে গেছে।
'আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি রাজস্ব আদায়, চোরাচালান, শুল্কফাঁকি, মিথ্যাঘোষণা রোধ করতে। ইতিমধ্যে আমাদের অনেক কর্মকর্তার করোনাও শনাক্ত হয়েছে। ' যোগ করেন কাস্টম হাউস কমিশনার।
কাস্টম হাউসের একজন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, গত পহেলা বৈশাখ, রমজানের ঈদসহ করোনাকালের অনেক উৎসবেই দেশে কেনাকাটা হয়নি বললেই চলে। এর প্রভাবও পড়েছে রাজস্ব আহরণে। এ সময় উচ্চশুল্ক, বিলাসবহুল পণ্য ছাড় হয়নি বললেই চলে। তা ছাড়া মোংলা বন্দরে গাড়ি, ঢাকা আইসিডিতে নির্দিষ্ট কিছু পণ্য খালাসে চট্টগ্রাম বন্দরের তুলনায় ভ্যালুয়েশন, এইচএস কোড, জরিমানাসহ ন্যায় নির্ণয়ে বেশি সুবিধা পাওয়ায় আমদানিকারকরা সেখানেই খালাস করেছেন।
অর্থনীতিতে করোনার ধাক্কায় শুধু লক্ষ্যমাত্রা থেকে দূরে নয় এর আগের অর্থবছর (২০১৮-১৯) থেকেও আদায় কম হয়েছে ১ হাজার ৮১০ কোটি টাকা, ৪ দশমিক ১৫ শতাংশ। ওই বছর রাজস্ব আদায় হয়েছিল ৪৩ হাজার ৫৭৭ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।
সূত্র জানায়, অর্থ বছরের শেষ মাস জুনে আদায়ের লক্ষ্য ছিলো ৪ হাজার ৫৭১ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। কিন্তু আদায় হয় ৪ হাজার ১৭১ কোটি ১৫ লাখ টাকা, ৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ কম। তবে এটা আগের অর্থবছরের জুনের চেয়ে ৩৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ বেশি। তখন আদায় ছিলো ৩ হাজার ৬৯ কোটি ৪১ লাখ টাকা।
অর্থবছরের শেষ দিন গত ৩০ জুন কাস্টম হাউসের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ১৬৯ কোটি ২০ লাখ টাকা। কিন্তু আদায় বেড়ে দাঁড়ায় ৩০০ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। যা ২০১৮-১৯ অর্থবছরের শেষ দিনের চেয়ে ৪৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ বা ৯১ কোটি টাকা বেশি।
কাস্টম হাউস আমদানির ওপর আয়কর আদায় করলেও তা রাজস্ব আহরণের হিসাবে যোগ করে না। সেটি কর অঞ্চলকে বুঝিয়ে দেয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৬ ঘণ্টা, জুলাই ০১, ২০২০
এআর/টিসি