অথচ কেউ কেউ এর সমালোচনা করেই চলেছেন। সমালোচনায় সংকট থেকে উত্তরণ সম্ভব নয়।
সোমবার (২৯ জুন) নগরের বিপণিবিতান কার্যালয়ে ব্যবসায়ী কল্যাণ সংস্থা ও বিপণি বিতান দোকান কর্মচারী ইউনিয়নের উদ্যোগে কর্মচারীদের করোনা প্রতিরোধক স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণকালে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সরকার সবদিক বিবেচনায় শপিংমলসহ অন্যান্য ব্যবসাকেন্দ্র সীমিত আকারে চালু রেখেছে। এতে করে কম বেশি সবাই উপকৃত হচ্ছেন। দেশের অর্থনীতি যদি দেউলিয়া হয়ে যায় বেঁচে থাকলেও আমাদের ঘুরে দাঁড়াতে বেশ বেগ পেতে হবে। দেশ ও দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ঠিক রেখে গণস্বাস্থ্য সংরক্ষণ সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা আশাবাদী যে, সতর্কভাবে দেশের মানুষ সরকার ও প্রশাসনকে সহযোগিতা করলে সংকট উত্তরণ কঠিন হবে না।
দোকান কর্মচারীদের উদ্দেশে মেয়র বলেন, পরিচ্ছন্ন হয়ে দোকানে বসার পাশাপাশি ক্রেতারা এলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। করোনা প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন থেকে কাজ করতে হবে। নিজেরা আক্রান্ত হলে অন্যের সেবার যে দায়িত্ব আমাদের কাঁধে, তা ভালোভাবে করতে পারবো না।
এ সময় মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, বিপণি বিতান ব্যবসায়ী কল্যাণ সংস্থার সভাপতি মো. সাগির, বিপণি বিতান দোকান কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি নির্মল কান্তি শীল, সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম, বেলাল আহমদ, এসএম মামুনুর রশীদ, আনিসুল ইসলাম আনিস, অনিল ধর, জনি ইসলাম, মো. ফরহাদ, আহমেদ রুবেল, তাজুল ইসলাম রিপন, আজাদ হোসেন, মনসুর আলম, মহিউদ্দিন, অনিক, আলী, ফজলুল, অরুণ চৌধুরী, শুভাশিস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সেবক কলোনি পরিদর্শন
সেবকদের উদ্দেশে মেয়র বলেন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন জীবনযাপন রোগ বালাই প্রতিরোধের প্রধান প্রতিষেধক। করোনাকালে এর গুরুত্ব অপরিসীম। পরিচ্ছন্ন আবাস ও দেহকে জীবাণু সহজে স্পর্শ করে না। তাই চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কোভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধ কর্মপরিকল্পনায় পরিষ্কান-পরিচ্ছন্নতাকে অধিকতর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
সামাজিক সুরক্ষাবেষ্টনী নিশ্চিত হলে রোগ-ব্যাধি সংক্রমণের জীবাণু নিস্তেজ ও নিষ্প্রাণ হতে বাধ্য।
পূর্ব মাদারবাড়ীতে চসিকের পরিচ্ছন্নকর্মীদের আবাসিক কলোনি পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, নগরকে যারা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখেন তাদের জীবনধারাও একই রকম হতে হবে। তাই তাদের জন্য বহুতল ভবন করার পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হচ্ছে। ইতিমধ্যে ঝাউতলায় সেবক কলোনি বহুতল ভবন নির্মাণকাজ চলমান। বাকি কলোনিগুলোতেও একই ধরনের সুযোগ-সুবিধায় আবাসন প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে চসিক। এসব প্রকল্পে আবাসনের সঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কমিউনিটি হল ও উপাসনালয় থাকছে।
এ সময় চসিক কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহমেদ, সিটি মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুদীপ বসাক, নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জসিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৪ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০২০
এআর/টিসি