ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

অভিজ্ঞতার আলোকে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় চসিক

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৭ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০২০
অভিজ্ঞতার আলোকে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় চসিক অভিজ্ঞতার আলোকে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় চসিক

চট্টগ্রাম: করোনাকালে পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রতিদিনের অভিজ্ঞতার আলোকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) স্বাস্থ্যখাত সচল রেখে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সেবাদানকারীদের  নিরাপত্তা  নিশ্চিত করে সাধ্য ও সামর্থ্য অনুযায়ী সেবা দেওয়া হচ্ছে।

সামর্থ্য-সীমার বাইরেও সামাজিক শক্তি ও বেসরকারি ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান সম্পৃক্ত করে করোনা টেস্টিং বুথসহ ২৫০ শয্যার সিটি হল আইসোলেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেছি। এর সুফল উপকারভোগীরা পাচ্ছেন।

রোববার (২৮ জুন) টাইগারপাসে চসিকের অস্থায়ী কার্যালয়ে ইউএস সেন্টারস্ ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যন্ড প্রিভেনশনের বাংলাদেশস্থ প্রধান আবাসিক কর্মকর্তা ড. মিচেল এস ফ্রেডম্যানের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন এসব কথা বলেন।

তিনি চসিক স্বাস্থ্য বিভাগের কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের বিভিন্ন পদক্ষেপ, উদ্যোগ, নীতিমালাসহ জনকল্যাণমুখী সেবা প্রদানের কার্যক্রম তুলে ধরে বলেন, আমাদের এ সব কার্যক্রম ও কর্মপরিকল্পনা পরিস্থিতি ও বাস্তবতা বিবেচনায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পরিচালিত হচ্ছে।

এক্ষেত্রে আর্থিক সংকটসহ নানান প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও আমাদের কর্মপরিকল্পনাগুলো সচল ও সক্রিয় রাখা এবং সম্ভাব্য প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুতি চলমান রাখা হয়েছে।  

ড. মিচেল এস ফ্রেডম্যান বলেন, সীমিত সামর্থ্য ও সীমাবদ্ধতার মধ্যেও করোনাকালে পরিস্থিতি মোকাবেলায় চসিক সামাজিক ও মানবিক উদ্যোগ একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। আশা করি এর সুফল জীবন ও জীবিকা রক্ষায় উপকারভোগীরা পাচ্ছেন। তাই এ প্রাপ্তি যথেষ্ট না হলেও উল্লেখ করার মতো এবং অন্যান্য স্থানীয় প্রতিষ্ঠানের জন্য অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।

তিনি কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে চসিকের কর্মপরিকল্পনায় সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, বিপর্যয়কালীন আমাদের পরামর্শগুলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আমলে আনা হয়। পরিস্থিতি মোকাবেলায় যেখানে ইতিবাচক কর্মপরিকল্পনাগুলো চলছে সেগুলো সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করার পর তা অনুসরণ করার জন্য বিশ্ব ফোরামে তুলে ধরা হয়। তাই আমাদের কাছে চসিকের করোনাকালীন কর্মপরিকল্পনা একটি কার্যকর ও গুরুত্বপূর্ণ অভিজ্ঞতা।

ড.মিচেল এস ফ্রেডম্যান মেয়রের কাছে দুর্যোগ মোকাবেলায় তার বৈশ্বিক অভিজ্ঞতাগুলো তুলে ধরে বলেন, দুর্যোগকালীন পরিস্থিতি প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় থাকার জন্য আন্তর্জাতিক ফোরামগুলোর নির্দেশনা সহায়ক প্রেরণা হয়ে থাকতে পারে। তাই আমাদের অভিজ্ঞতাগুলো বিনিময় করে চসিকের করোনাকালের কর্মপরিকল্পনা ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে যেতে পারে বলেই আস্থা ও বিশ্বাস জন্মেছে।

তিনি পরামর্শ দেন, দুর্যোগকালীন পরিস্থিতিতে চসিকের কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে সামাজিক শক্তি এবং শ্রেণি- পেশাজীবীদের নেতৃত্বকে যত বেশি সম্পৃক্ত করা যাবে তত বেশি ইতিবাচক সুফল অর্জিত হবে। এই দিকটি গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় আনা হলে চসিকের কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে কোনো বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতা থাকবে না।

তিনি সর্বাত্মক সহায়তার আশ্বাস দেন।

এ সময় প্রকল্প গবেষণা কর্মকর্তা লে. কর্নেল দস্তগীর হারুন, গবেষক ও সাংবাদিক মিস প্রিয়াতা, চসিক  প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহমেদ, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ একেএম রেজাউল করিম, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আলী উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৬ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০২০
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।