সর্বশেষ বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) পাহাড়তলীতে টেন্ডার জমা দিতে গিয়ে হামলার শিকার হন সানাউল হক নামে এক ঠিকাদার। তাকে মারধরের অভিযোগ উঠে নগর ছাত্রলীগের তিন নেতার বিরুদ্ধে।
টেন্ডার নিয়ে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে এরকম প্রায় সময় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। রেলের ১ কোটি ১০ লাখ টাকার দরপত্র নিয়ে ২০১৩ সালের ২৪ জুন বাবর ও লিমনের অনুসারীদের মধ্যে সবচেয়ে বড় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই সংঘর্ষে যুবলীগের কর্মী সাজু পালিত (২৮) ও শিশু আরমান (৮) নিহত হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সম্পূর্ণ ই-জিপির আওতায় এসেছে চিফ ইঞ্জিনিয়ারিং দফতর ও চিফ ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং দফতর। বাকি দফতরগুলো এখনও সম্পূর্ণ ই-জিপিতে আসেনি। কোনো দফতর ৪০ ভাগ আর কোনো দফতর ৩০ ভাগ ই-জিপির আওতায় এসেছে।
২০১১ সালে সরকার সব প্রতিষ্ঠানকে ই-জিপির আওতায় নিয়ে আসার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হলেও রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের কমিশন লেনদেন জড়িত থাকায়, সুযোগ থাকার পরও ই-জিপির আওতায় আসেনি।
প্রায় ৯ বছরেও টেন্ডার ই-জিপিতে না আসায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্বয়ং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবির মিলন। নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক আইডিতে তিনি লিখেছেন- ‘টেন্ডার ছিনতাই, বক্স দখল, ড্রপিং-এ বাঁধা, মারামারি, হাতাহাতি, প্রায় শোনা যায় রেলের টেন্ডারিংয়ের ক্ষেত্রে। অথচ সরকারের সুস্পষ্ট নির্দেশনা আছে সকল ক্ষেত্রে ই–টেন্ডারিং চালু করার জন্য। …
ই–টেন্ডারিং চালু করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সদয় নির্দেশনা দিয়েছেন অনেক আগেই। সরকারের অনেক সংস্থা এবং প্রতিষ্ঠান ই–টেন্ডারিং প্রক্রিয়া সফলতার সাথে বাস্তবায়ন করে চলেছে। রেল কেন পিছিয়ে থাকবে?’
সব বিভাগকে ই-জিপির আওতায় আনা হবে
রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সরদার সাহাদাত আলী বাংলানিউজকে বলেন, করোনা ভাইরাসের মহামারির মধ্যে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ই-জিপি ফলো করা হয় না। কারণ জরুরি ভিত্তিতে কাজ সারতে সরাসরি দরপত্র আহ্বান করা হয়। তবে আমাদের সিদ্ধান্ত হয়েছে পর্যায়ক্রমে সববিভাগকে ই-জিপির আওতায় আনার।
‘চিফ ইঞ্জিনিয়ারিং দফতর ও চিফ ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং দফতর ইতিমধ্যে সম্পূর্ণ ই-জিপির আওতায় আসছে। বাকি বিভাগও ই-জিপির আওতায় আনতে কাজ চলছে’ বলেন সরদার সাহাদাত আলী।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৭ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০২০
জেইউ/টিসি