১৮৪ দশমিক ৫১ মিটার লম্বা, সাড়ে ৮ মিটার ড্রাফটের জাহাজটির কনটেইনার ধারণক্ষমতা ১ হাজার ৫৫০ টিইইউ’স (২০ ফুটের এককে)। জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ার পোর্ট কেলাং বন্দরে কনটেইনার পরিবহন করবে।
জাহাজটির মালিক প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী গ্রুপ, যার ব্যবস্থাপনা পরিচালক সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী।
এনসিটির অপারেটর সাইফ পাওয়ারটেকের সিওও ক্যাপ্টেন তানভির বাংলানিউজকে জানান, এক দশক পর বাংলাদেশি পতাকাবাহী কনটেইনার শিপ এসেছে চট্টগ্রাম বন্দরে। এটি একটি মাইলফলক। জাহাজটি সিঙ্গাপুর থেকে খালি আনা হয়েছে। ১ হাজার টিইইউ’স রফতানি পণ্যভর্তি ও ৩৫০ টিইইউ’স খালি কনটেইনার নিয়ে সিঙ্গাপুর ও পোর্ট কেলাংয়ের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে।
বাংলাদেশি পতাকাবাহী কনটেইনার জাহাজ আন্তর্জাতিক রুটে আবার যুক্ত হওয়ায় মেরিটাইম সেক্টরে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে জানিয়ে বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক খায়রুল আলম সুজন বাংলানিউজকে বলেন, প্রথমত মেরিটাইম ওয়ার্ল্ডে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে। দেশের কনটেইনারবাহী রফতানি ও আমদানি পণ্য পরিবহনে বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হবে। দেশের টাকা দেশে থাকবে। দ্বিতীয়ত বাংলাদেশি ক্যাডেট ও রেটিংসদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
তিনি জানান, বাংলাদেশি পতাকাবাহী হওয়ায় জাহাজ দুইটি বার্থিং, কনটেইনার প্রাপ্যতার কোটাসহ অনেক বিষয়ে অগ্রাধিকার পাবেন। আমদানিকারক বা রফতানিকারকরাও নিঃসন্দেহে কিছু বাড়তি সুবিধা ভোগ করবেন।
শিপিং খাতে অভিজ্ঞ কর্ণফুলী গ্রুপ বিভিন্ন ফিডার অপারেটর কোম্পানি ও মেইন লাইন অপারেটরের স্থানীয় এজেন্ট হিসেবে সুনামের সঙ্গে কাজ করে আসছে। ফিডার অপারেটর হিসেবে আত্মপ্রকাশের এ কর্মযজ্ঞে অন্তত ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০২০
এআর/টিসি