ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ফারাজ করিমের উদ্যোগে রাউজানে হচ্ছে আইসোলেশন সেন্টার

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০৮ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০২০
ফারাজ করিমের উদ্যোগে রাউজানে হচ্ছে আইসোলেশন সেন্টার রাউজানে আইসোলেশন সেন্টার গড়ার উদ্যোগ নিয়েছেন ফারাজ করিম চৌধুরী

চট্টগ্রাম: করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতে রাউজানে আইসোলেশন সেন্টার গড়ে তুলছেন রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর বড় ছেলে তরুণ রাজনীতিবিদ ফারাজ করিম চৌধুরী।

এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে তিনি রাউজানের সর্বস্তরের মানুষের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন। যিনি ১০ টাকা দিতে পারবেন তাকেও আহ্বান করেছেন, আবার যিনি ১০ হাজার টাকা দিতে পারবেন তাকেও আহ্বান জানিয়েছেন।

আর্থিক সহযোগিতার পাশাপাশি চিকিৎসা সরঞ্জাম, সুরক্ষা সামগ্রী, অক্সিজেন সিলিন্ডার, বেড ইত্যাদিও চেয়েছেনতিনি। আহ্বান জানিয়েছেন রাউজানের চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদেরও।
নিজের মাতৃভূমিতে আক্রান্ত রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা দিতে উদ্বুদ্ধ করছেন তিনি। সাড়াও পাচ্ছেন বেশ।

তিনি মনে করেন, এত বড় কর্মযজ্ঞ কখনো একার পক্ষে সম্ভব নয়। ইতিমধ্যে একজন রাজমিস্ত্রি তার এক দিনের বেতনের টাকা আইসোলেশন সেন্টারের জন্য দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন অনেকেই। এ আইসোলেশন সেন্টার হলে স্বাস্থ্যসেবা পাবেন রাউজান ছাড়াও আশপাশের কয়েকটি উপজেলার অনেক অসহায় রোগী। অক্সিজেনের অভাবে শ্বাসকষ্টে মারা যাবে না অনেক প্রিয়জন।

রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবির সোহাগ বলেন, ‘রাউজানের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী ও তার বড় ছেলে ফারাজ করিম চৌধুরীর প্রচেষ্টায় সুলতানপুর ৩১ শয্যার হাসপাতালটি আইসোলেশন সেন্টার হিসেবে প্রস্তুত করার যাবতীয় কার্যক্রম এরই মধ্যে শুরু হয়েছে।

আইসোলেশন সেন্টার কার্যক্রমের সমন্বয়কারী রাউজান উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও পৌর প্যানেল মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ বলেন, সবকিছু ঠিক থাকলে আমরা জুলাই মাসের শুরুতেই আমাদের আইসোলেশন সেন্টারের কার্যক্রম শুরু করতে পারবো। এজন্য আমরা যাবতীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি।

করোনার ক্রান্তিলগ্ন থেকেই বিভিন্নভাবে মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছেন ফারাজ করিম চৌধুরী। উদ্যোগ নিয়েছেন একের পর এক। তার প্রশংসনীয় বিভিন্ন উদ্যোগের মধ্যে ছিল রাউজানে কর্মহীন মানুষদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ, বিভিন্ন এলাকায় ভ্যানগাড়িতে করে বিনামূল্যে মাছ ও শাকসবজি সরবরাহ, পুরো রমজান মাসব্যাপী চট্টগ্রামের প্রতিটি হাসপাতালে প্রতিদিন ২ হাজার চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সেহেরির খাবার সরবরাহ।

এ ছাড়াও, হাতে হাতে পৌঁছে দিয়েছেন স্বাস্থ্য সামগ্রী। দায়িত্ব নিয়েছেন রাউজানে মৃত্যুবরণকারী করোনা রোগীদের দাফন ও অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার।

বাংলাদেশ সময়: ২২০১ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০২০
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।