এ বিষয়ে ডা. ফয়সল ইকবাল বাংলানিউজকে বলেন, ডা. রাকিব হত্যার প্রতিবাদে বিএমএ চট্টগ্রাম শাখার অধিকাংশ চিকিৎসক টেলিমেডিসিন সেবা দিতে অনিহা প্রকাশ করেছেন। আমাদের প্রায় ১৫০ জন সদস্য প্রতিদিন টেলিমেডিসিন সেবা দিয়ে আসছিলেন।
অন্যদিকে, বিএমএ চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. মুজিবুল হক খান বাংলানিউজকে বলেন, ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসকরা সেবা দেওয়ার পরও যদি তারা জীবনের নিশ্চয়তা না পায় তাহলে বিষয়টি দুঃখজনক। আমরা জনগণকে সেবা দেবো আর জনগণ চিকিৎসদের গায়ে হাত তুলবে-এটা কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না। ডা. রাকিব হত্যার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানাচ্ছে বিএমএ চট্টগ্রাম শাখা।
চট্টগ্রামে টেলিমেডিসিন সেবা বন্ধ করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই সেবা বন্ধের ব্যাপারে আমরা চিন্তা করছি। সবাই বসে একটা সিদ্ধান্ত দিতে হবে। ডা. ফয়সল ইকবাল চৌধুরীর দেওয়া ঘোষণার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ ব্যাপারে অবগত নন বলে জানান।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ মার্চ ডা. ফয়সল ইকবাল চৌধুরী এই টেলিমেডিসিন সেবা দেওয়ার কথা জানিয়ে জ্বর-সর্দি-কাশি-গলাব্যথা উপসর্গের রোগীদের ঘর থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ দেন। হাসপাতাল অথবা চিকিৎসকের চেম্বারে না গিয়ে ঘরে বসে চিকিৎসাসেবা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেছিলেন, বিএমএ চট্টগ্রাম শাখা আপনার ঘরে থেকে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে ‘জরুরি টেলিমেডিসিন সেবা’ চালু করেছে। এজন্য ১০৬ জন চিকিৎসকের নাম ও মুঠোফোন নম্বর দেওয়া হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যদিও এ পর্যন্ত অনেক চিকিৎসাপ্রার্থী এসব মুঠোফোন নম্বরে যোগাযোগ করে কয়েকজন চিকিৎসকের সাড়া পাননি বলে অভিযোগ করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪০ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০২০
এমএম/এসি/টিসি