শনিবার (৬ জুন) সন্ধ্যায় হাজারীগলির ইমন মেডিক্যাল হলে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটক দুইজন হলো- চন্দনাইশ থানাধীন বিনাজুরী এলাকার গোপাল দেবের ছেলে সুভাষ দেব (৪৫) ও কক্সবাজার জেলার সদর উপজেলার চৌফলদণ্ডি এলাকার বিরন কান্তি দে'র ছেলে শুভ দে (২২)।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) শাহ মুহাম্মদ আবদুর রউফের নেতৃত্বে পুলিশ সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালায়।
সিএমপির উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) এসএম মেহেদী হাসান বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য ও অভিযোগ ছিল ইমন মেডিকেল হলে অতিরিক্ত দামে জীবানুনাশক বিক্রি করা হচ্ছিল।
এসএম মেহেদী হাসান বলেন, দুইজনকে আটক করা হয়েছে। উচ্চ মূল্যে বিক্রিরত ১৭৫ লিটার হেক্সাসল ও ১১ লিটার সেভলন লিকুইড জীবানুনাশক জব্দ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের হচ্ছে।
তিনি বলেন, ফার্মেসিগুলোতে যদি ওষুধের অতিরিক্ত দাম চাওয়া হয় তাহলে সাধারণ মানুষ আমাদের কাছে জানাতে পারেন। আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব।
সব থানাকে ফার্মেসিতে অভিযানের নির্দেশ
এদিকে ফার্মেসিতে অতিরিক্ত দামে ওষুধ বিক্রির বিষয়টি নজরে আসার পর সিএমপির সব থানা এলাকায় অভিযানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
যদি কোনো ফার্মেসিতে নির্ধারিত দামের চেয়ে অতিরিক্ত দামে ওষুধ বিক্রি করা হয় বা অসাধূ উপায়ে মজুদ করা হয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনাও দিয়েছেন সিএমপি কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান।
নগরের বাসিন্দারা সিএমপির হটলাইন (০১৮ ৮০ ৮০ ৮০ ৮০) নাম্বারে ফোন করে অভিযোগও জানাতে পারবেন। অভিযোগ পেলে ওই ফার্মেসির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে সিএমপির পক্ষ থেকে।
সিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (জনসংযোগ) মোহাম্মদ আবুবকর সিদ্দিক বাংলানিউজকে বলেন, কিছু কিছু ফার্মেসিতে ওষুধের সংকট তৈরি করে অতিরিক্ত দাম নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব ফার্মেসির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট থানাকে বলা হয়েছে। সিএমপির প্রতিটি থানা এলাকায় সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালাতে নির্দেশনারও দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৬ ঘণ্টা, জুন ০৬, ২০২০
এসকে/টিসি