ক্রমাগতভাবে বাড়তে থাকা সংক্রমণ এখনই ঠেকাতে না পারলে আরো কঠিন অবস্থা অপেক্ষা করছে চট্টগ্রামের জন্য। এমনটিই মনে করছেন চট্টগ্রামের স্বার্থ সংশ্লিষ্টরা।
চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে, করোনায় মৃত্যুর হারে দেখা যায়- সংক্রমণে পিছিয়ে থাকলেও মৃত্যু হারে এগিয়ে রয়েছে ষাটোর্ধ্ব বয়সীরা। এই বয়সী ৩৪ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে চট্টগ্রামে।
অন্যদিকে, চট্টগ্রামের মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ৩৯৭ জন। এদের মধ্যে ৯২৮ জনই ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী। এছাড়া ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী ৮১০ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী ৫৯৪ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী ৪৭১ জন, ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী ২২০ জন, শূণ্য থেকে ১০ বছর বয়সী ৮৭ জন এবং ষাটোর্ধ্ব রয়েছে ২৮২ জন।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি বাংলানিউজকে বলেন, সংক্রমণ রোধে সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। এখনই বিষয়টি নিয়ে সচেতন না হলে সংক্রমণ আরও ছড়াতে পারে। আক্রন্তদের শনাক্ত করতে নগরের বিভিন্ন জায়গায় নমুনা সংগ্রহের জন্য ছয়টি বুথ বসানো হয়েছে। যত বেশি রোগী শনাক্ত করা যাবে তত সংক্রমণ কমানো সম্ভব হবে।
চট্টগ্রামের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে তিনি বলেন, জেনারেল হাসপাতাল, বিআইটিআইডি ছাড়াও চমেক হাসপাতাল, রেলওয়ে হাসপাতাল, হলিক্রিসেন্টে করোনার চিকিৎসায় চালু করা হয়েছে। এছাড়া বঙ্গবন্ধু মেমুরিয়াল হাসপাতাল, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল রোগের চিকিৎসা দিতে প্রস্তুতি চলছে।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় করোনা বিষয়ক সেলের সমন্বয়কারী ডা. আ ম ম মিনহাজুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, আরও ৮ থেকে ১০ দিন পর সংক্রমণের পরিমাণ বাড়বে। কারণ লকডাউন তুলে দেয়ার পর গ্রামে যারা ছিল তারা বিভিন্ন কাজে শহরে এসেছে। এর ফলে সামাজিক সংক্রমণের পরিমাণ বাড়ছে। আর কিছুদিন পরই তাদের মধ্যে উপসর্গ দেখা দিবে।
তিনি আরও বলেন, কিন্তু চিকিৎসা দেওয়ার মত যে সক্ষমতা তা আমরা এখনও অর্জন করতে পারি নি। সরকার নির্দেশ দেওয়ার পরও আমরা ইউএসটিসি, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল প্রস্তুত করতে সময় লাগছে। এছাড়া রেলওয়ে হাসাপতালের অবস্থাও নাজুক। অন্যদিকে হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতাল উদ্বোধন করলেও অবকাঠামোগত ত্রুটির কারণে পুরোপুরি চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। সুতরাং নিজেরা এখনই সচেতন না হলে কোন ভাবেই এই মহামারী মোকাবিলা করা সম্ভব হবে না।
বাংলাদেশ সময়: ২২২৫ ঘণ্টা, জুন, ০৩, ২০২০
এমএম/টিসি