বুধবার (৩ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে মেয়র বলেন, করোনা বৈশ্বিক মহামারীতে রূপ নেওয়ার ফলে বাংলাদেশেও এর সংক্রমণ দিন দিন বেড়েই চলেছে। সাম্প্রতিক সংক্রমণের হিসাবে চট্টগ্রামকে কোভিড হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
কিন্তু অনেক চিকিৎসক নিরাপত্তাজনিত কারণে চেম্বার বন্ধ রাখায় এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ঢালাওভাবে হাঁচি-কাশি, জ্বর ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগীদের ফিরিয়ে দেওয়ায় অনেক রোগী বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ঘুরে চিকিৎসা না পেয়ে রাস্তাঘাটে মারা যাচ্ছেন।
মেয়র বলেন, নিজের সুরক্ষা নিশ্চিত করে সাহস নিয়ে এসব রোগীদের চিকিৎসা প্রদানে এগিয়ে আসতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের সময় যেভাবে বাঙালিরা নিজের জীবনের পরোয়া না করে দেশমাতৃকার সম্মান রক্ষার্থে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, ঠিক একইভাবে আজকের করোনা যুদ্ধের ফ্রন্টফাইটার তথা চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী ভাই-বোনদের দেশের এ ক্রান্তিকালে একই রকমের অনুভূতি ধারণ করে জনগণকে রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে। অন্যথায় দেশ এক মহাবিপর্যয়ের মুখোমুখি হবে।
মেয়র বলেন, প্রিয় ডাক্তার-স্বাস্থ্যকর্মী ভাই ও বোনেরা, একবার ভাবুন তো, আপনার মা-বাবা, সন্তান, স্ত্রী বা ভাই-বোন বা পরিবারের অন্য কোনো সদস্য যদি কোভিড আক্রান্ত হন, আপনি কি বসে থাকতে পারবেন? নিশ্চয়ই পারবেন না। আজকে যারা করোনায় বা সাধারণ ফ্লু তে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসার আশায় দিকভ্রান্ত হয়ে এদিক ওদিক ঘুরে ফিরছে তারা তো আমাদের দেশেরই নাগরিক, আমাদের কারো না কারো ভাই বা বোন, স্বামী বা স্ত্রী, মা বা বাবা।
আসুন, আমরা তাদের আপন করে নিই, তাদের চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে তুলি। আমরা যদি অনেক মানুষকে চিকিৎসা বঞ্চিত রাখি, তাদের মাধ্যমে আরো অনেক মানুষ আক্রান্ত হবেন। দেশ এক মহাবিপর্যয়ের মুখোমুখি হবে।
চট্টগ্রামের সম্মানিত হাসপাতাল ও ক্লিনিক মালিকগণ ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতি মেয়র হিসেবে বিনীত আরজ জানাচ্ছি, আপনারা যে যার যার অবস্থান থেকে করোনার এ মহাবিপর্যয়ে মানবতার সেবায় এগিয়ে আসুন। আপনাদের আন্তরিক সহযোগিতা ছাড়া এ যুদ্ধে জয়লাভ করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
আসুন, আমাদের কোনো ভাই বা বোন যেন চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুর কোলে ঢলে না পড়েন সেটা নিশ্চিত করি। ইনশাআল্লাহ আপনাদের সহযোগিতায় আমরা শিগগির করোনামুক্ত সুন্দর ও নির্মল বাতাসে আবার শ্বাস গ্রহণ করবো, ফিরে পাব মানবিক ও সুস্থ বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, জুন ০৩, ২০২০
এআর/এমআর/টিসি