দীর্ঘদিন বেতন না পেয়ে হাসপাতালে আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে চুক্তির ভিত্তিতে আয়া ও ওয়ার্ড বয়ের কাজ করা এই কর্মচারীরা মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
এর মধ্যে হাসিনা আক্তার নামে একজন পরিচ্ছন্ন কর্মী করোনা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার (১ জুন) মারা গেছেন।
তবে জেনারেল হাসপাতাল কতৃপক্ষ বলছে- স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অর্থছাড় না করায় আউটসোর্সিং এর ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান তাদের বেতন দিতে পারছে না। অর্থছাড় হলেই এইসব কর্মচারীরা বকেয়া বেতন-ভাতা পেয়ে যাবেন।
জেনারেল হাসপাতালে আউটসোর্সিং এর ভিত্তিতে কাজ করা মনু প্রভা সেন বাংলানিউজকে বলেন, করোনার এই সময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছি। করোনা রোগীদের থাকার ওয়ার্ড পরিষ্কার করছি। এরপরেও আমাদের বেতন বকেয়া রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, মাত্র ছয় হাজার টাকা মাসিক বেতনে কাজ করি। বেতন বকেয়া আছে ২০১৯ সালের নভেম্বর মাস থেকে। সবাই মিলে আন্দোলন করে দুই মাসের বেতন পেয়েছি। এখনও ৫ মাসের বেতন পাইনি আমরা।
‘সামান্য বেতনে চাকরি করি। যদি এই টাকাটাও না পাই- তাহলে আমাদের সংসার চলবে কি করে?’
জেনারেল হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ডা. শফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, যারা আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে কাজ করেন তাদের বেতন কিছু বকেয়া থাকে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান যখন টাকা পায় তখনই তাদের বেতন পরিশোধ করা হয়।
তিনি বলেন, এই কর্মচারীদের কত মাসের বেতন বকেয়া আছে তা বলতে পারছি না। সেটা তত্ত্ববধায়ক ডা. অসীম কুমার নাথের সঙ্গে কথা বলে জানাতে পারবো। সবাই টাকা পাবেন। কারও টাকা বকেয়া রাখা হবে না।
এই বিষয়ে জানতে আউটসোর্সিং এর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অভি এন্টারপ্রাইজের মালিক সত্যজিৎ বাবুর মুঠোফোনে কল দেওয়া হলেও তিনি সাড়া দেননি।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘণ্টা, জুন ০২, ২০২০
এমএম/এমআর/টিসি