সোমবার (১ জুন) গণপরিবহন চলাচল আনুষ্ঠানিকভাবে শুরুর পরের চিত্র এটি।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি বেলায়েত হোসেন বেলাল বাংলানিউজকে জানান, ৭০ ভাগ গণপরিবহন সড়কে নেমেছে।
তিনি বলেন, কাউন্টার সার্ভিসে শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে। লোকাল সার্ভিসের ক্ষেত্রে কিছু কিছু যাত্রী, চালক ও সহকারীর অসচেতনতা মাঝেমধ্যে দেখা যাচ্ছে। যদিও প্রশাসন কঠোরভাবে স্বাস্থ্য সুরক্ষা মানার বিষয়টি তদারকি করছেন।
নগরে ১ হাজার ১৫০ থেকে ১২শ বাস, দেড় হাজার হিউম্যান হলার ও ১ হাজার ৭০০ টেম্পু চলাচল করে বলে জানান এ পরিবহন মালিক নেতা।
চট্টগ্রাম-নাজিরহাট-খাগড়াছড়ি বাস মালিক সমিতির প্রচার সম্পাদক মো. শাহজাহান বাংলানিউজকে জানান, ৪০ আসনের বাসে ২০ জন, ৩৫ আসনের বাসে ১৬ জন যাত্রী তুলছি আমরা। চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি আগে ভাড়া ছিলো ১৯০ টাকা এখন নিচ্ছি ৩০০ টাকা। নিউমার্কেট থেকে হাটহাজারী ৩০ টাকার ভাড়ার জায়গায় এখন নিচ্ছি ৫০ টাকা। ৬০ শতাংশের বেশি ভাড়া বাড়ানো হয়নি।
তিনি জানান, প্রতিটি বাসস্ট্যান্ডে মাইক লাগিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য প্রচারণা চালানো হচ্ছে। চালক ও সহকারীদের মাস্ক ব্যবহারের জন্য কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এস আলম বাস সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, ৬০ শতাংশ ভাড়া বাড়িয়ে চট্টগ্রাম থেকে পটিয়া ৮০ টাকা, চকরিয়া ২৮০ টাকা, পেকুয়া ২৪০ টাকা, টইটং ২২০ টাকা, মগনামা ২৫০ টাকা ও কক্সবাজার ৪০০ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লভস ছাড়া যাত্রীদের বাসে তোলা হচ্ছে না। প্রতি ট্রিপের আগে গাড়ি জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে। কাউন্টারের বাইরে যাত্রীদের হাত ধোয়ার জন্য পানি ও সাবানের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
নগরের টেম্পুগুলোর ভেতরে আগে ৯-১০ জন যাত্রী তোলা হলেও এখন চালকের পাশে একজনসহ মোট ৭ জন যাত্রী তোলা হচ্ছে। ভাড়া বাড়ানোর কারণে যাত্রীদের সঙ্গে চালক ও সহকারীর বাগবিতণ্ডাও দেখা গেছে নগরের কয়েকটি স্থানে।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৫ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০২০
এআর/এসি/টিসি