ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২, ০৩ জুলাই ২০২৫, ০৭ মহররম ১৪৪৭

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

গণপরিবহনে সচেতন যাত্রীদের হাতে গ্লভস, মুখে মাস্ক

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২:৩৪, জুন ১, ২০২০
গণপরিবহনে সচেতন যাত্রীদের হাতে গ্লভস, মুখে মাস্ক ছবি: সোহেল সরওয়ার

চট্টগ্রাম: দুই মাসের বেশি সময় পর গণপরিবহন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে রাজপথ। যাত্রী-চালক-সহকারী সবার মুখে মাস্ক। সচেতন যাত্রীদের হাতে গ্লভস, মাথায় স্কার্ফও। কেউ কেউ হ্যান্ড স্যানিটাইজার বের করে হাত জীবাণুমুক্ত করে নিচ্ছেন। তাদের চোখেমুখে রাজ্যের উদ্বেগ।

সোমবার (১ জুন) গণপরিবহন চলাচল আনুষ্ঠানিকভাবে শুরুর পরের চিত্র এটি।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি বেলায়েত হোসেন বেলাল বাংলানিউজকে জানান, ৭০ ভাগ গণপরিবহন সড়কে নেমেছে।

বাকি ৩০ ভাগ গাড়ির চালক, সহকারীরা ঈদের ছুটিতে বাড়িতে যাওয়ার পর এখনো ফেরেনি। আশা করছি, ২-১ দিনের মধ্যে সব গণপরিবহন সড়কে নেমে যাবে।

ছবি: সোহেল সরওয়ারতিনি বলেন, কাউন্টার সার্ভিসে শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে। লোকাল সার্ভিসের ক্ষেত্রে কিছু কিছু যাত্রী, চালক ও সহকারীর অসচেতনতা মাঝেমধ্যে দেখা যাচ্ছে। যদিও প্রশাসন কঠোরভাবে স্বাস্থ্য সুরক্ষা মানার বিষয়টি তদারকি করছেন।

নগরে ১ হাজার ১৫০ থেকে ১২শ বাস, দেড় হাজার হিউম্যান হলার ও ১ হাজার ৭০০ টেম্পু চলাচল করে বলে জানান এ পরিবহন মালিক নেতা।

ছবি: সোহেল সরওয়ারচট্টগ্রাম-নাজিরহাট-খাগড়াছড়ি বাস মালিক সমিতির প্রচার সম্পাদক মো. শাহজাহান বাংলানিউজকে জানান, ৪০ আসনের বাসে ২০ জন, ৩৫ আসনের বাসে ১৬ জন যাত্রী তুলছি আমরা। চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি আগে ভাড়া ছিলো ১৯০ টাকা এখন নিচ্ছি ৩০০ টাকা। নিউমার্কেট থেকে হাটহাজারী ৩০ টাকার ভাড়ার জায়গায় এখন নিচ্ছি ৫০ টাকা। ৬০ শতাংশের বেশি ভাড়া বাড়ানো হয়নি।

তিনি জানান, প্রতিটি বাসস্ট্যান্ডে মাইক লাগিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য প্রচারণা চালানো হচ্ছে। চালক ও সহকারীদের মাস্ক ব্যবহারের জন্য কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

ছবি: সোহেল সরওয়ারএস আলম বাস সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, ৬০ শতাংশ ভাড়া বাড়িয়ে চট্টগ্রাম থেকে পটিয়া ৮০ টাকা, চকরিয়া ২৮০ টাকা, পেকুয়া ২৪০ টাকা, টইটং ২২০ টাকা, মগনামা ২৫০ টাকা ও কক্সবাজার ৪০০ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লভস ছাড়া যাত্রীদের বাসে তোলা হচ্ছে না। প্রতি ট্রিপের আগে গাড়ি জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে। কাউন্টারের বাইরে যাত্রীদের হাত ধোয়ার জন্য পানি ও সাবানের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

নগরের টেম্পুগুলোর ভেতরে আগে ৯-১০ জন যাত্রী তোলা হলেও এখন চালকের পাশে একজনসহ মোট ৭ জন যাত্রী তোলা হচ্ছে। ভাড়া বাড়ানোর কারণে যাত্রীদের সঙ্গে চালক ও সহকারীর বাগবিতণ্ডাও দেখা গেছে নগরের কয়েকটি স্থানে।

বাংলাদেশ সময়: ১২২৫ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০২০
এআর/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।