এক বার্তায় তিনি বলেন, ইতোপূর্বে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার, ডিজি (হেলথ) এর সঙ্গে ১২টি বেসরকারি হাসপাতালের চুক্তি হয়েছিল। তারা প্রত্যেকটি হাসপাতালে ১০টি করে করোনা বেড ও ৩টি আইসিইউ করোনা রোগীদের জন্য বরাদ্দ দেওয়ার কথা থাকলেও এই চুক্তি বাস্তবায়িত হয়নি।
‘করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বৃহত্তর চট্টগ্রামের জন্য ফৌজদারহাট বিআইটিআইডিতে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল ও জেনারেল হাসপাতালকে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল করা হয়।
সুজন বলেন, চট্টগ্রামের মানুষের এই সংকটকে উপলব্ধি করে আরো দুইটি বিশেষায়িত হাসপাতালের অনুমোদন দেওয়ায় আপনার প্রতি চট্টগ্রামবাসী আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ। বর্তমানে চট্টগ্রামে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো নমুনা সংগ্রহ এবং পরীক্ষা। এই সংকট দ্রুত সমাধান করতে না পারলে চট্টগ্রামকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে দুর্গম পথ পাড়ি দিতে হবে। অতি জরুরি ভিত্তিতে এই সংকট সমাধান করা জরুরি হয়ে পড়েছে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের একটি সেকশন ১০০টি বেড ও পর্যাপ্ত আইসিইউ বেডসহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রস্তুত করে রাখলেও তারা সেটি চালু করতে পারছেন না। চট্টগ্রামে পুলিশ ও র্যাবের অনেকে করোনা সংক্রমিত হয়েছে এবং অনেকে মৃত্যুবরণও করেছেন। ঢাকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য যেমন আলাদা হাসপাতালের ব্যবস্থা করা হয়েছে ঠিক তেমনি মা ও শিশু হাসপাতালকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জন্য বরাদ্দ দেওয়া যেতে পারে।
বার্তায় তিনি বলেন, এছাড়াও চট্টগ্রাম রেলওয়ে হাসপাতাল, ভাটিয়ারীতে শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডের হাসপাতাল, বন্দর হাসপাতালও করোনা চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। জেনারেল হাসপাতাল ও ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি এর যেসব রোগী অপেক্ষাকৃত ভাল অবস্থায় আছেন, তাদেরকে সেখানে স্থানান্তর করা যেতে পারে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, যদি আপনার নির্দেশক্রমে এই হাসপাতালগুলোকে করোনা চিকিৎসার জন্য ব্যবস্থা করে দেওয়া যায়। পাশাপাশি সরকারের গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা বাস্তবায়নে যারা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে, তাদের চিহ্নিত করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪২ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০২০
এসি/টিসি