রোববার (৩১ মে) সকাল থেকে এ দুইটি বিপণিকেন্দ্রের দোকানিরা দোকান খুলতে শুরু করেন। ঝাড়া-মোছা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, পণ্যসামগ্রী সাজানো, মেঝে-আসবাব জীবাণুমুক্ত করার কাজেই ব্যস্ত ছিলেন দোকানি ও কর্মচারীরা।
টেরিবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের ৮২টি মার্কেটে ২ হাজারের বেশি দোকান, শোরুম রয়েছে। সবাইকে আমরা কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি ও সরকার-প্রশাসনের নির্দেশনা মেনে চলার জানিয়ে দিয়েছি। যদিও সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এখনো পুরোপুরি খুলেনি। কেউ কেউ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন, করোনার হটস্পট হয়ে উঠেছে চট্টগ্রাম।
রিয়াজউদ্দিন বাজারের তামাকুমণ্ডি লেন বণিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাম্মেল হক বাংলানিউজকে জানান, ১১০টি মার্কেটের ১৩ হাজারের বেশি দোকান রয়েছে আমাদের সমিতির অধীনে। এর মধ্যে ৩০০ আমদানিকারকও রয়েছেন। দোকানি-কর্মচারী মিলে ৪০ হাজার মানুষের আনাগোনা। ক্রেতা ও বিক্রেতাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য আমরা ৯টি জীবানুমুক্তকরণ গেট বসিয়েছি। এ ছাড়া সব দোকানে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, জীবাণুমুক্তকরণ স্প্রে, দোকানি-কর্মচারীদের মাস্ক, হ্যান্ড গ্লভস পরার নির্দেশনা দিয়েছি।
তিনি বলেন, রোববার সকাল থেকে অনেক দোকান খুলেছে তামাকুমণ্ডি লেনের। কিছু কিছু দোকান এখনো বন্ধ রয়েছে। বেচাকেনার চাপ নেই আগের মতো।
স্যানমার ওশান সিটি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আসাদ ইফতেখার বাংলানিউজকে জানান, বৃহস্পতিবার (৪ জুন) থেকে স্যানমার ওশান সিটি ও ফিনলে স্কয়ার খুলবে। সোমবার (৮ জুন) মিমি সুপার মার্কেট, শনিবার (৬ জুন) থেকে সেন্ট্রাল প্লাজা খোলার কথা রয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব বিপণিকেন্দ্র সীমিত পরিসরে চালু হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৫ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০২০
এআর/টিসি