শনিবার (৩০ মে) আকাশপথের যাত্রীদের সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা, এয়ারলাইন্সগুলোর কাউন্টারে মাস্ক ও গ্লভস, জুতোর তলা জীবাণুমুক্ত করার জন্য ফুটম্যাট বসানো, স্বয়ংক্রিয়ভাবে শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষার ব্যবস্থা, টার্মিনাল ভবনে দূরত্ব পদচিহ্ন স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে।
শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক উইং কমান্ডার সারওয়ার-ই-জামান বাংলানিউজকে বলেন, কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী যাত্রী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শতভাগ স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতে কাজ করছি আমরা।
তিনি বলেন, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শতভাগ স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আমরা বদ্ধ পরিকর। প্রয়োজনে কর্তৃপক্ষ কঠোরভাবে আইনের প্রয়োগ করবে। একই সঙ্গে আমরা চাইবো, করোনাকালে যাত্রীদের বিদায় কিংবা রিসিভ করতে স্বজনরা না আসুক।
সূত্র জানায়, বিমানবন্দরে দায়িত্বরত চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস, শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর, স্বাস্থ্য অধিদফতর, উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্র, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থাও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চালু উপলক্ষে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
সূত্র জানায়, ২০১৯ সালে শাহ আমানত বিমানবন্দর দিয়ে ৯টি আন্তর্জাতিক রুটসহ ১৭ লাখ ৭৮ হাজার যাত্রী গমনাগম করেন। রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, দেশের বেসরকারি উড়োজাহাজ পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানের বাইরে তিনটি বিদেশি উড়োজাহাজ পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানের সপ্তাহে ৫৬০টি, দৈনিক ৪০টি ফ্লাইট ওঠানামা করতো যাত্রী ও কার্গো নিয়ে। ২০১৯ সালে ২ হাজার ৬৯৩ টন কার্গো রফতানি ও ৬ হাজার ৮৮১ টন কার্গো আমদানি হয়েছিলো এ বিমানবন্দর দিয়ে। গত ১০ বছরে ফ্লাইট সংখ্যা বেড়েছে ১ দশমিক ৮ গুণ, যাত্রী বেড়েছে ৩ দশমিক ১২ গুণ এবং কার্গো শিপমেন্ট বেড়েছে ৮ দশমিক ৯ গুণ।
বাংলাদেশ সময়: ১২২০ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২০
এআর/টিসি