ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

অপ্রয়োজনে ঘোরাঘুরি না করতে তথ্যমন্ত্রীর অনুরোধ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৬ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০২০
অপ্রয়োজনে ঘোরাঘুরি না করতে তথ্যমন্ত্রীর অনুরোধ বক্তব্য দেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ছবি: বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জনগণকে ঘরে থাকার অনুরোধ জানিয়ে বলেছেন, অদৃশ্য একটি ভাইরাসের বিরুদ্ধে আমরা যুদ্ধ করছি। এই যুদ্ধে আমার সুরক্ষা আমার কাছে।

এটি যদি নিজেরাই অনুধাবন করতে না পারি, তবে কাউকে জোর করে সুরক্ষা দেওয়া কঠিন। লকডাউন শিথিল করা মানে এই নয়- অপ্রয়োজনে ঘোরাঘুরি করবো।

অকারণে বের হবো। জনসমাগম করবো।

তিনি বলেন, অহেতুক ঘর থেকে বের হয়ে ঘোরাঘুরি করায় করোনা রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে বেড়েছে। সবাইকে চিন্তা করতে হবে আমরা একটি উন্নয়নশীল দেশ। এখানে জীবন ও জীবিকা দুটিই রক্ষা করতে হবে।

পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতে যেখানে এখনও ডজন ডজন মানুষ প্রতিদিন মৃত্যুবরণ করছে সেখানেও অনেক জায়গায় লকডাউন শিথিল করা হয়েছে। তাই সুরক্ষা নিয়েই কাজ চালিয়ে যেতে হবে।

বুধবার (২৭ মে) বিকেলে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে করোনা ভাইরাস (কোভিট-১৯) মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন আয়োজিত সমন্বয় সভা শেষে ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় চট্টগ্রামের দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় সভায় ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, সংসদ সদস্য ওয়াসিকা আয়েশা খানম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ সালাম, বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, পৃথিবীর কোনো দেশ করোনা ভাইরাসের হাত থেকে মুক্ত থাকেনি। পৃথিবীর উন্নত দেশগুলো করোনা ভাইরাসের কারণে পর্যুদস্ত অবস্থা। অনেক বেশি সংখ্যক মানুষ মৃত্যুবরণ করছে। যুক্তরাষ্ট্রে যেখানে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ও ব্যবস্থাপনা আমাদের চেয়ে অনেক উন্নত সেখানে শনাক্তরোগীর ৬ ভাগ মৃত্যুবরণ করছে।

তবে বাংলাদেশে শনাক্ত রোগীদের মধ্যে মৃত্যুর হার এখন ১ দশমিক ৪ ভাগ। সরকার শুরু থেকে নানা ব্যবস্থা গ্রহণ করার কারণে মৃত্যুর হার এখনও অনেক দেশের তুলনায় এখানে কম। এটি একটি বৈশ্বিক দূর্যোগ। সবার সহযোগিতা নিয়েই আমরা এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে চাই।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার ইতোমধ্যে চট্টগ্রামের ইম্পেরিয়েল হাসপাতাল, হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতাল, রেলওয়ে হাসপাতাল এবং ইউএসটিসির বঙ্গবন্ধু হাসপাতালসহ বেশ কয়েকটি হাসপাতালকে কোভিড হাসপাতাল হিসেবে ঘোষণা করেছে। প্রয়োজন হলে আরও হাসপাতাল অধিগ্রহণ করবে।

এসব হাসপাতালের বাইরে সভায় চট্টগ্রামে আইসোলেশন ইউনিট স্থাপনের জন্য সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, নগরের আগ্রাবাদ এক্সেস রোডে অবস্থিত সিটি কমিউনিটি হলে তিন’শ বেডের একটি আইসোলেশন ইউনিট স্থাপন করা হবে।

এরপরও যদি আরও আইসোলেশন ইউনিটের প্রয়োজন হয় তাহলে চট্টগ্রামের শীতাতাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা সম্বলিত কমিউনিটি হলগুলোকে প্রয়োজনে আইসোলেশন ইউনিটে রূপান্তর করা হবে। এছাড়া চট্টগ্রাম শহরে করোনা ভাইরাসের স্যাম্পল কালেকশনের জন্য দ্রুতসময়ের মধ্যে আরও ১১টি বুথ স্থাপন করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০২০
এমআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।