ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ঈদের ছুটিতেও মাঠে ভ্রাম্যমাণ আদালত, জরিমানা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৬ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০২০
ঈদের ছুটিতেও মাঠে ভ্রাম্যমাণ আদালত, জরিমানা চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অভিযান। ছবি: বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে লোকজনের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতের পাশাপাশি বাজার তদারকি করতে ঈদের ছুটিতেও ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান অব্যাহত রেখেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।

বুধবার (২৭ মে) ঈদের তৃতীয় দিন সকালে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নগরের সড়ক, বিনোদনকেন্দ্র, হোটেল, ফার্মেসি এবং মুদি দোকানে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় ৬টি মামলায় ১৫ হাজার ৭০০ টাকা জরিমানা করা হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশরাফুল আলম নগরের বাকলিয়া, সদরঘাট, কোতোয়ালী, ডবলমুরিং ও হালিশহর এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। তিনি ৩টি মামলায় মোট ১২ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অভিযান।  ছবি: বাংলানিউজ

ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশরাফুল আলম বাংলানিউজকে জানান, ডিসি স্যারের নির্দেশে বৃষ্টির মধ্যেই অভিযানে বের হই। এ সময় নকল মাস্ক বিক্রি করায় হাজারী গলির ২টি ফার্মেসিকে ১০ হাজার এবং মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রির দায়ে ওই এলাকার একটি মুদি দোকানকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

অভিযানে নগরের শাহ আমানত সেতু, অভয়মিত্র ঘাটসহ বিনোদনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠা বিভিন্ন এলাকায় জনসমাগম ঠেকানো এবং সড়কে ব্যক্তিগত গাড়ি ভাড়ায় চলাচল করছে কিনা তা যাচাই করা হয় বলে জানান এই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিল্লুর রহমান নগরের পতেঙ্গা, ইপিজেড, বন্দর, পাহাড়তলী ও আকবরশাহ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। তিনি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দিয়ে নগরে প্রবেশের দ্বার সিটি গেইট এলাকায় ব্যক্তিগত গাড়ি ভাড়ায় চলাচল বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অভিযান।  ছবি: বাংলানিউজ

ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিল্লুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, সকাল থেকেই বৃষ্টির কারণে সড়কে মানুষের চলাচল তেমন ছিলো না। আমরা নগরের প্রবেশপথ সিটি গেইটসহ বেশ কিছু এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে যাদের পেয়েছি তাদের করোনা ভাইরাস বিষয়ে সতর্ক করেছি। তবে এই সময় কাউকে জরিমানা করা হয়নি।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট একেএম ইশমাম বায়েজিদ, চকবাজার, চান্দগাঁও, পাঁচলাইশ ও খুলশী এলাকায় পরিচালিত অভিযানে নেতৃত্ব দেন। তিনি মাইক্রোবাস এবং সিএনজি চালিত অটোরিকশায় যাত্রী পরিবহন এবং হোটেল খোলা রেখে চা পরিবেশনের দায়ে মালিককে অর্থদণ্ড প্রদান করেন।

ম্যাজিস্ট্রেট একেএম ইশমাম বাংলানিউজকে জানান, অক্সিজেন মোড়ে একটি মাইক্রোবাসে ভাড়ায় যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছিলো। এ কারণে চালককে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় সিএনজি চালিত অটোরিকশায় যাত্রী পরিবহনের দায়ে এর চালককেও ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়।

হামজারবাগ এলাকায় একটি হোটেল খোলা রেখে হোটেলের ভিতরে চা পরিবেশনের দায়ে দোকানিকে ২০০ টাকা জরিমানা করা হয় বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০২০
এমআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।