মঙ্গলবার (২৬ মে) সন্ধ্যা ৭টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই চিকিৎসককে প্লাজমা থেরাপি দেওয়া হয়।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ওই চিকিৎসক চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের অর্থোপেডিক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক।
সম্প্রতি করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা মো. তারেক নামে এক ব্যক্তির শরীর থেকে প্লাজমা সংগ্রহ করে তা ওই চিকিৎসকের শরীরে প্রয়োগ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চমেকের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক অনিরুদ্ধ ঘোষ।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমরা আজ একটি প্লাজমা দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, ঢাকায় ইতোমধ্যে প্লাজমা থেরাপি ব্যবহার করা হচ্ছে। যদি এতে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়- তাহলে আমরাও চট্টগ্রামে প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগের চেষ্টা করবো।
পরীক্ষামূলকভাবে এটি করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে অনিরুদ্ধ ঘোষ বলেন, এটি পরীক্ষামূলক বলা যাবে না। পরীক্ষামূলক করতে গেলেও যেসব বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসরণ করা দরকার ছিল তা করা সম্ভব হয়নি।
কারণ এটি করতে গেলে আমাদের দেরি হয়ে যাচ্ছিল। আর রোগীকে খারাপ অবস্থায় দিয়ে দেওয়ার চেয়ে প্লাজমা থেরাপি দিয়ে কোনো ফল পাওয়া গেলে ভালো।
করোনা পজেটিভ ওই চিকিৎসক গত ২১ মে থেকে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আজ সকাল থেকে তাকে অতিরিক্ত অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়। পরে সন্ধ্যার দিকে ২৫০ মিলিলিটার প্লাজমা দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১২২০ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০২০
এমএম/টিসি